রাত ফুরোলেই দোল। রঙের এই উৎসব রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের প্রতীক বটে। আবার ধর্ম-জাতপাতের বিভেদ ভুলে এই দিনে সকলে মেতে ওঠেন আনন্দে। রাধা-কৃষ্ণের মতোই আপনার জীবনে ভরে উঠতে পারে প্রেমে। সম্পর্ক হতে পারে অটুট। কী ভাবে?
দোল কেবল রং খেলার জন্য নয়, জ্যোতিষবিদদের মতে এই দিন অত্যন্ত শুভ। নিয়ম মেনে ভক্তিভরে ভগবানের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে তিনি কাউকে খালি হাতে ফেরান না। তবে তার জন্য এই দিন কিছু টোটকা পালন করতে হয়। জানেন, দোলের দিন কী কী করলে খুলবে আপনার ভাগ্য?
হোলির দিনে রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে গিয়ে পুজো করে তাঁদের পায়ে আবির নিবেদন করুন। এর পরে 'ওঁম রাধা বল্লভাই নমঃ' মন্ত্র ৩ বার জপ করুন। পুজো ও জপ করার পর পায়ের আবির অল্প অল্প করে কপালে প্রতিদিন লাগান। রাধা- কৃষ্ণর আশীর্বাদ বজায় থাকবে।
হোলির দিন গরুকে সবুজ চারার সঙ্গে গুড় ও রুটি খাওয়ান। তার পায়ে আবির ঢেলে সাতবার পরিক্রমা করুন। পরিক্রমা করার সময় আপনার মনের ইচ্ছা বলুন। হিন্দুশান্ত্র অনুসারে গাভীতে ৩৩ কোটি দেব-দেবী বাস করেন, তাদের আশীর্বাদে আপনার প্রেম জীবন মজবুত হবে এবং অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে।
প্রেম করে বিয়ে করার পরেও লেগে রয়েছে দাম্পত্য কলহ? হোলিকা দহনের রাতে চাঁদকে দুধ ও জল নিবেদন করুন। তারপর চাঁদের বীজ মন্ত্র 'ওঁম শ্রাম শ্রাম শ্রাম স: চন্দ্রমসে নমঃ' ১০৮ বার জপ করুন। পারস্পরিক ভালোবাসা মজবুত হবে। এরপর হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়ার সময় আগুনে কিছু আবির জ্বালিয়ে আপনার ইচ্ছার কথা জানান।
প্রেমের জীবনকে শক্তিশালী করতে, হোলির দিনে ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর পুজো করুন। শিবলিঙ্গে মধু দিয়ে অভিষেক করুন এবং মা পার্বতীকে মধু নিবেদন করুন। এরপর উভয়ের গায়ে লাল ও সবুজ আবির লাগান, তারপর পাঁচটি দেশি ঘির প্রদীপ জ্বালিয়ে শিব চালিসা পাঠ করুন। এতে করে প্রেমে আসা সব বাধা দূর হয় এবং প্রেমের বিয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হবে।
হোলিকা দহন হয় পূর্ণিমার দিনে, এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা করা উচিত এবং একে অপরকে উপহার দিতে হবে। তবে উপহার দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন জিনিসটা যেন কালো-নীল রঙের এবং ধারালো না হয়। এসব দিলে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়তে থাকে। একে অপরকে উপহার দিয়ে রঙ লাগান, এতে করে প্রেম জীবনে দূরত্বের অবসান ঘটে।
হোলিকা দহনের সময় একটি শুকনো নারকেল নিয়ে তাতে চিনি দিয়ে তারপর সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। এরপর নারকেলের ওপর সিঁদুর, আবির ও অক্ষত মাখিয়ে লাল কাপড়ে বেঁধে হোলিকার আগুনে জ্বালিয়ে দিন। এতে করে প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক মজবুত থাকে এবং জীবনে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসে।