
গরম ভাতে পটল ভাজা খেতে খুব ভাল লাগে। এছাড়াও দই পটল, পুর ভরা পটল, পটল দিয়ে চিংড়ি মাছ, পটলের মিষ্টি- একাধিক লোভনীয় খাবার বানানো যায় পটল দিয়ে। তবে এভাবে পটলের চপ আগে বানিয়ে খেয়েছেন কি? আজ রইল তারই রেসিপি

বড় সাইজের পাঁচটা পটল নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর পটলের বীজ ভেতর থেকে বের করে নিন। পটলের গায়ে লম্বালম্বি চিরে নিয়ে এই বীজ বের করে নিতে হবে, এবার পটল নুন-হলুদ দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে

নুন-হলুদ পটলের গায়ে মাখিয়ে রাখলে পটল দ্রুত নরম হয়। ননস্টিক প্যানে সরষের তেল দিয়ে ২ টো শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভাজুন। এর মধ্যে একবাটি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার এতে রসুন আর কাঁচালঙ্কা কুচি মিশিয়ে দিন। হাফ চামচ হলুদ আর লঙ্কা গুঁড়ো দেবেন

দু মিনিট ভাজলে মশলার কাঁচা গন্ধ চলে যাবে। এবার সেদ্ধ করে চটকে নেওয়া দুটো আলু আর ১ চামচ নুন দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। কড়াই থেকে পুর ছেড়ে আসলে গ্যাস অফ করে দিতে হবে, আলুর পর আবারও ভাল করে মেখে নিন

চিরে নেওয়া পটলের মধ্যে পুর ভরে ভাল করে চেপে দিতে হবে। লম্বা পটলের মধ্যে যতটুকু জায়গা থাকবে ততটাই পুর দিন। অতিরিক্ত পুর বের করে দিন। পটলের মুখের বাইরে কোনও পুর থাকবে না।

এবার হাফ কাপ বেসনের মধ্যে ১ বড় চামচ চালের গুঁড়ো মেশান। একটু হলুদ, নুন দিয়ে সব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। ব্যাটার খুব ঘন বা পাতলা হবে না। একটা কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করতে বসান। এবার এই এক চামচ গরম তেল এই ব্যাটারে মিশিয়ে দিন

ডুবো তেলে সোনালী করে ভেজে নিলেই তৈরি পটলের চপ। গরম গরম টমেটোর সস আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে খেতে খুব ভাল লাগে। এছাড়াও মুড়ির সঙ্গে খেতে পারেন এই চপ। আলুর পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও ভাল

সামনেই পুজো-পার্বণ। বাড়িতে অতিথি এলে বানিয়ে দিতে পারেন এমন পটলের চপ। চা কিংবা কফির সঙ্গে স্ন্যাকস হিসেবে খেতে খুব ভাল লাগে। অন্য রকম তেলেভাজার পরিবর্তে এভাবে বানিয়ে নেওয়া পটলের চপ খেতে খুব ভাল লাগে। আলুর পুরের পরিবর্তে ছানার পুর ব্যবহার করতে পারেন