শিল্প, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের পৃষ্ঠপোশক ছিলেন ঠাকুর বাড়ির সদস্যরা। এখানকার মেয়ে-বৌ এঁরা যেমন রন্ধন পটিয়সী ছিলেন তেমনই কলমও চলত তুখোড়।
বাইরে থেকে ঘুরে এসে বাড়ির পুরুষরা যেমন আবদার করতেন সেই মত রান্নাও তাঁরা করে দিতেন। এছাড়াও নিজেদের ভাবনাকেও কাজে লাগাতেন রান্নায়।
মাটন খেতে খুবই পছন্দ করতেন রবীন্দ্রনাথ। এছাড়াও ঠাকুর বাড়ির জনপ্রিয় রান্নার মধ্যে রয়েছে চিকেন কাবাব নোসি, সুরতি মিঠা কাবাব, কাঁচা ইলিশের ঝোল,নারকেল চিংড়ি, আদা দিয়ে মাছের ঝোল, চিতল মাছের মুইঠ্যা, এঁচোড় দিয়ে পাঁঠার মাংস।
আপেল আর আলু খোসা ছাড়িয়ে ছোট চৌকো করে কেটে নিন। এবার কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে নুন আর হলুদ মিশিয়ে আলু ভেজে নিতে হবে।
শিলে আদা, জিরে বেটে নিন। অল্প মশলাতেই এই রান্না হয়। এবার কড়াই বসিয়ে তাতে সরষের তেল দিয়ে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি আর গোটা জিরে ফোড়ন দিন। নেড়ে চেড়ে এর মধ্যে কুচনো পেঁয়াজ, শুকনো লঙ্কা, গোটা রসুনের কোয়া , তেজপাতা দিন।
এবার মশলা ভাল করে কষিয়ে নিয়ে আদা-জিরে বাটা মিশিয়ে দিন। হলুদ গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন দিন। মশলা কষে এলে খাসির মাংস মিশিয়ে দিন। ধনে আর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
মাংস একদম কষে এলে কেটে রাখা আপেল মিশিয়ে দিন। খুব ভাল করে কষানো হলে দেড় কাপ জল মিশিয়ে নিন। এই মাংস খেতে কষা হবে। নুন নিজেরা দেখে স্বাদমতো দেবেন। জল দিয়ে ফুটে এলে আলু মিশিয়ে দিন।
এবার ঢাকা দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। ঢাকা খুলে পাঁচটা কাঁচালঙ্কা দিন। এবার আরও ৩০-৩৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে হালকা আঁচে বসিয়ে রাখুন। নামানোর আগে জিরে আর গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নিন।