
আলুর মধ্যে যতই ক্যালোরি থাক না কেন আলুর জুড়ি মেলা ভার। আলুর মধ্যে থাকে অল্প পরিমাণ পুষ্টিও। যদিও আলু সেদ্ধর মধ্যে কোনও দোষ নেই, যত বেশি ক্যালোরি থাকে আলু ভাজাতে

আলুভাজা, ঝুরি আলুভাজা, মাংসের আলু, ডিমের ঝোলের আলুর মধ্যে অনেকটা পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। কিন্তু যদি আলু সেদ্ধ করে সেই জল ফেলে দিয়ে তা দিয়ে তরকারি বানালে এর মধ্যে ক্যালোরি থাকে না

সাদা আলুর তরকারি এভাবেই বানানো হয়। কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা দিয়ে সাদা আলুর তরকারির সঙ্গে লুচি পরোটা খেতে খুবই ভাল লাগে। আজ রইল ঘি দিয়ে বানানো আলু মরিচের রেসিপি। এই তরকারির সঙ্গে রুটি খেতে বেশ লাগে

লুচি-পরোটা দিয়েও খেতে পারেন। আর জ্বর-সর্দির পর এই রকম আলুর তরকারি খেতেও লাগে খুব ভাল। যদি সারারাত ট্রেনজার্নি থাকে তাহলেও এভাবে শুকনো আলুর তরকারি বানিয়ে খেতে পারেন। খেতে লাগবে খুবই ভাল

জলে নুন দিয়ে আলু সেদ্ধ করতে বসিয়ে দিন। মোটামুটি সেদ্ধ হলে সেই জল ফেলে দিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে গরম করে ১ চামচ কালোজিরে, শুকনো লঙ্কা দিয়ে গ্যাসের ফ্লেম একদম কমিয়ে রাখুন

ফোড়ন একটু নাড়াচাড়া করে আলু দিতে হবে। নাড়াচাড়া করে ৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবার এতে স্বাদমতো নুন দিন। বেশ ভাজা ভাজা হলে কাঁচালঙ্কা চিরে দিন। সামান্য একটু জলের ছিটে দিন যাতে ধরে না যায়

এবার ভাজা জিরের গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। সামান্য ধনেপাতা কুচি করে মিশিয়ে দিতে হবে এতে। গ্যাসের ফ্লেম একদম কমিয়ে রাখবেন। এবার ঢাকা খুলে পরিবেশন করে নিতে হবে

গরম গরম পরোটার সঙ্গে বা লুচির সঙ্গে বেশ ভাল লাগে। বাচ্চার টিফিনেও বানিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া দূরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে সেখানেও বানিয়ে নিতে পারেন এই তরকারি। অনেকক্ষণ নষ্ট হবে না