
নেশা করার অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কথা বলতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। মদ, গাঁজা, চরস, সিগারেটের ফাঁদে পড়ে অনেকেরই জীবন নষ্ট হয়।

পুরুষের মধ্যে নেশার প্রবণতা সমাজে তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মেয়েদের মধ্যেও নেশার প্রবণতা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। মূলত শহর বা শহরতলিতেই এই প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। গ্রামের দিকে তুলনায় এই প্রবণতা কম।

স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, কেন মেয়েদের মধ্যে নেশা করার প্রবণতা বাড়ছে? আসুন এক নজরে দেখে নিই মেয়েদের নেশার সম্ভাব্য কারণ।

নেশার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যাঁদের বাবা-মা বা বাড়ির লোক নিয়মিত নেশা করেন। তাঁদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও নেশার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

এক জন মহিলার মানসিক অবস্থা নেশা করার অন্যতম কারণ হতে পারে। যাঁদের আত্মবিশ্বাস কম, যে কোনও পরিস্থিতিতেই উৎকণ্ঠা যাঁদের গ্রাস করে, তাঁদের চারিত্রিক দৃঢ়তা সাধারণত কম হয়। মনের জোর কম হওয়ায় নেশার ফাঁদে তাঁরা জড়িয়ে পড়েন।

হতাশা বা অবসাদ থেকেও নেশার ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন অনেক মহিলা। প্রেমভঙ্গের হতাশা হোক বা কেরিয়ারে প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়া। বর্তমান ইঁদুর দৌড়ের যুগে অবসাদ গ্রাস করে অনেকেই, তা থেকেই মুক্তি পেতে নেশার ভুল পথে পা বাড়ান অনেকে।

পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারও নেশায় জড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। বন্ধুবান্ধব বা আশপাশে কাউকে নেশা করতে দেখলে অনেকের মনে সেই ইচ্ছা জাগে। আবার বন্ধুদের ডাকে সাড়া দিতে গিয়েও নেশার জালে জড়ান অনেকে।

তবে একটা জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। নেশা করা কখনই কাউকে ‘স্মার্ট’ বা ‘কুল’ করে তোলে না। উল্টে তা দেহের বিভিন্ন ক্ষতি করে। ধূমপানের জেরে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা যেমন হয়। তেমনই মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা গর্ভকালীন সমস্যা হতে পারে। সুস্থ যাপনের জন্য নেশামুক্ত জীবন একান্ত কাম্য।