
বাঙালির দরজায় কড়া নাড়ছে পুজো। মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে ত্বকের জেল্লা। ব্রণ, ফুসকুড়ি সেরে গিয়েছে। কিন্তু এখনও দাগ মিলিয়ে যাননি। পুজো শুরুর আগে এই কাজটাও সেরে ফেলতে হবে।

যেহেতু পুজো আর বেশিদিন বাকি নেই, তাই নতুন প্রসাধনী ব্যবহারের ভুল করবেন না। বরং, ঘরোয়া টোটকার সাহায্যে দাগছোপ দূর করুন। আর পুজো শুরুর আগেই পেয়ে যান নিখুঁত ত্বক।

যদি ক্ষতর কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়, তাহলে কাজে আসবে ঠান্ডা জল। ক্ষত স্থান প্রতিদিন ঠান্ডা জল দিয়ে ধুতে থাকুন। এতে ওই স্থানের রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং সমস্ত জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ধীরে-ধীরে দাগ কমে যায়।

স্নানের সময় নারকেল তেল মেখে নিন। দাগছোপ দূর করতে এবং ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে নারকেল তেল দারুণ উপযোগী। নারকেল তেলের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বককে পুষ্টি জোগায়।

পড়ে গিয়ে হাঁটু কেটে গিয়েছে? সেই কাটার দাগ নিয়ে শর্টস পরা যায় না। আর এই দাগ দূর করা ঝক্কির মনে হয়। কিন্তু চা পাতা জলে ভিজিয়ে ওই স্থানে লাগাতে পারেন। কয়েক দিনের মধ্যেই দাগ উধাও হয়ে যাবে।

ব্রণর দাগ, রোদে পোড়া দাগ ইত্যাদি দূর করতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। ত্বকের উপর সরাসরি অ্যালোভেরা জেল লাগানোর পাশাপাশি রোজের ব্যবহৃত ফেস ক্রিম ও ফেসপ্যাকেও এটি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

বাসনের দাগছোপ দূর করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করেন? এই একই উপাদান আপনার ত্বকের দাগও দূর করবে। অল্প জলে বেকিং সোডা গুলে দাগের উপর লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুব বেশি বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না, ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

ঈষদুষ্ণ জলে ওটমিল মিশিয়ে স্নান করুন। এটি ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা সমস্ত মরা কোষ দূর করে দেয়। পাশাপাশি দাগছোপ কমায়। আপনি ওটমিলের তৈরি ফেসপ্যাক ও স্ক্রাবও ব্যবহার করতে পারেন।