
কখনও কাঠফাটা রোদ্দুর, আবার কখনও মেঘলা আকাশ। চৈত্রের মরশুম এমন আবহাওয়া কারওই পছন্দ নয়। এমনকি ত্বকেরও পছন্দ নয়। আবহাওয়ার সঙ্গে ত্বকের টেক্সচারও পরিবর্তন হয়। কখনও তৈলাক্ত, আবার কখনও শুষ্ক।

চৈত্র মাসের গরমে ত্বকের উপর তৈলাক্ত ভাব বেড়েছে। আবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পরই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ছে। স্নান সেরে বেরোলে এখনও ভারী ময়েশ্চারাইজারেরই সাহায্য নিতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় কীভাবে ত্বকের খেয়াল রাখবেন?

অয়েলি স্কিন হোক বা নরম্যাল, ত্বকের যত্ন নেওয়ার ভীষণ জরুরি। আর শুষ্ক ও আর্দ্রহীন ত্বকের যত্ন না নিলে, এখান থেকে বলিরেখা, ব্রণর সমস্যা বাড়ে। এসব সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে কীভাবে ত্বকের দেকভাল করবেন, রইল টিপস।

স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। ফেসওয়াশ হোক বা নাইট ক্রিম সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করা জরুরি। সবসময় চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করার। এতে ত্বকের উপর চাপ কম পড়ে।

শুষ্ক, তৈলাক্ত ও ব্রণ-প্রবণ ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কখনওই অ্যালকোহল বা প্রিজ়ারভেটিভযুক্ত পণ্য ব্যবহার করবেন না। এগুলো ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও পিএইচ স্তরের ভারসাম্যকে নষ্ট করে দেয়।

ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই টোনার ব্যবহার করুন। টোনার রোমকূপে জমে থেকে ময়লা পরিষ্কার করে এবং ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করে। এরপর সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। সকালে সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না।

স্নানের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক। এই মরশুমে তৈলাক্ত ত্বকে ভারী ময়েশ্চারাইজার মাখা যায় না। এক্ষেত্রে স্নানের সময় নারকেল তেল বেছে নিতে পারেন। কিংবা স্নানের পর অ্যালোভেরা জেল মেখে নিন।

সপ্তাহে দু'দিন স্ক্রাব ব্যবহার করুন। স্ক্রাব ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা মৃত কোষ পরিষ্কার করে দেয়। এতে আপনি পেয়ে যাবেন নরম ও কোমল ত্বক। তবে, চেষ্টা করুন মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করার। এতে সহজেই এড়ানো যায় ত্বকের ক্ষয়।