সকালবেলা রান্না থেকে ঘরের সব কাজ সেরে অফিস বেরোতে হয়। তাই অফিসেও প্রায় দেরি হয়ে যায়। আবার সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরিয়েও ঝক্কি পোহাতে হয়। সব কাজ একা হাতে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু আনাজ আগে কাটা থাকলে রান্নাটা চটজলদি হতে পারে।
মশলা বাটা থেকে আনাজ কাটা—রান্নাঘরে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয় এসব কাজের পিছনে। সপ্তাহে বড়জোর দু'বার বাজার যান। আর যদি সারা সপ্তাহের আনাজ একদিনে কেটে রেখে দেন, তাহলে কেমন হবে? সময় বাঁচতে পারে অনেকটা।
রান্না করা খাবার ফ্রিজে রেখে দেন। সেটাই প্রতিদিন গরম করে খান। এর চেয়ে সবজি কেটে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে রান্না তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু কাটা সবজি দীর্ঘদিন টাটকা ও তাজা রাখবেন কোন উপায়ে? রইল টিপস।
বেশিরভাগ সবজি কেটে আপনি ফ্রিজে রাখতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারে রাখেন। এতে সবজির রং ও টেক্সচার বজায় রাখে। হিমায়িত সবজি আপনি স্যুপ, স্টু ও স্টার-ফ্রাই করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
সমস্ত সবজি কেটে রাখার জন্য আলাদা আলাদা পাত্র ব্যবহার করুন। একই পাত্রে দু'ধরনের আনাজ রাখবেন না। আদা-রসুনের সঙ্গে কোনও সবজি রাখলে তার গন্ধ ধরে নেবে। পাশাপাশি শুকনো ও এয়ার টাইট কৌটো ব্যবহার করুন। জল ও হাওয়া লাগলে সবজি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।
কাঁচা লঙ্কা, ধনে পাতা, আদা, বিনস, গাজর, বাঁধাজপি ইত্যাদি সবজি কেটে রাখার জন্য আপনি জিপলক ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি সবজি কাটার আগে ধুয়ে নিন। কাটার পর ধুলে আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়।
এক সপ্তাহ ধরে কাটা আনাজ তাজা রাখার জন্য তেলের সাহায্য নিতে পারেন। সবজি কাটার পর এতে অল্প অলিভ অয়েল মাখিয়ে নিন। তেলের কোটিং কাটা সবজিকে বায়ুর সংস্পর্শে আসতে দেয় না এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাজা রাখে।
কাটা সবজিতে স্বাদ, টেক্সচার ও ফ্লেভার যোগ করতে লেবুর রসের সাহায্য নিন। পাতিলেবু হোক বা কমলালেবু, যে সব লেবুর রস কাটা সবজির উপর ছড়িয়ে দিন। এতে আনাজের অক্সিডেশন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং সহজে নষ্ট হয় না।