
ঋতু অনুযায়ী প্রকৃতি তার নিজের মত করে সেজে ওঠে। গরমের সব ফল যেমন রসালো হয় তেমনই শীতের সবজিতে রঙের আধিক্য থাকে বেশি। এদিকে বসন্ত পড়তেই গাছে গাছে ছেয়ে গিয়েছে সজনে ফুল

সজনে ফুলের বড়া, তরকারি এসব এই সময় খেতে বেশ ভাল লাগে। আর সজনে ফুল হল অ্যান্টিপক্স। এই সময় সংক্রমণজনিত রোগ জ্বালা বেশ বাড়ে। হাম, পক্সের প্রকোপ দেখা যায়। আর পক্স ঠেকাতে খুবই কার্যকরী হল সজনে ফুল

শুধু এই ফুল নয়। এই সময় গাছে কচি নিমপাতা হয়। অনেকেই বাড়িতে নিম বেগুন খান। এছাড়াও সজনে ডাঁটার তরকারি, শুক্তো এসব খেতেও বেশ লাগে। এই সময় শুক্তো, লাউ, চালকুমড়ো এসব খাওয়াও ভাল

সজনে ফুল এখান বাজারে প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। তবে দামও বেশ চড়া। এই সজনে ফুল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন সজনে ফুলের বর্তা। বড়া, ভাজা এসব অনেকেই খান। তবে তেলে ভাজলে তার উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়

ভর্তা বানিয়ে নিলে ফুলের গুণ যেমন বজায় থাকবে তেমনই খেতেও বেশ ভাল হবে।সজনে ফুলের খাদ্যগুণ অনেক। এই ভর্তা বাঙালির অনেক পুরনো রেসিপি। সজনে ফুল গরম জলে নুন দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন

এবার ফুল জল দিয়ে খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। যেহেতু ফুল মাটিতে পড়ে থাকে তাই খাওয়ার আগে বারবার জল দিয়ে খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। কড়াইতে ৪ চামচ সরষের তেল গরম করে নিতে হবে

গরম হলে কালোজিরে, শুকনো লঙ্কা দিয়ে নেড়ে নিয়ে সজনে ফুল দিতে হবে। ফুল দিয়ে হাফ চামচ নুন আর সামান্য হলুদ দিয়ে তা নেড়েচেড়ে নিতে হবে। সজনে ফুল থেকে যে জল ছাড়বে তাতেই ফুল সিদ্ধ হয়ে যাবে

এবার ফুল ঢাকা দিয়ে রাখুন। এর মধ্যে ৫ চামচ নারকেল কোরা মিশিয়ে দিন। ২ চামচ পোস্ত বাটা দিতে হবে, ২ চামচ সরষে বাটা দিয়ে একটা গোটা কাঁচালঙ্কা দিন। সব নাড়তে নাড়তে শুকিয়ে আসবে। ব্যাস তৈরি ভর্তা। গরম ভাতে এই সজনে ভুলের ভর্তা খেতে লাগে দারুণ