
শান্তিনিকেতন থেকে সোনার বাংলা, বাংলাদেশের কথা উঠলে প্রথমেই মনে আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা। বর্তমানে অশান্ত বাংলাদেশের ছবি দেখে মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলার কি অবস্থা!

বাংলাদেশের পরিস্থিতি হোক, কিংবা ২৫শে বৈশাখ হোক বা ২২শে শ্রাবণ, বিশেষভাবে স্মরণে আসেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কেবল সাহিত্য, গান, নাচ নয়, খাবারের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ভোজনরসিক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ তথা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে হেঁসেল। রান্না নিয়েও চর্চা হত ঠাকুরবাড়িতে। ঠাকুরবাড়ির বিভিন্ন পদ আজও বাঙালির অতি প্রিয়

ইলিশ থেকে কচু শাক নিয়ে ঠাকুরবাড়ির অসাধারণ পদের কথা তো কম-বেশি সকলেই জানেন। এমনকি পুঁটি মাছ থেকে রুই মাছ দিয়েও অতি সাধারণ অথচ সুস্বাদু পদ হত ঠাকুরবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথের খুব প্রিয় ছিল রুই মাছের বাটি চচ্চড়ি

বাটি চচ্চড়ি অনেক বাড়িতেই হয়। এটা নিরামিষ, আমিষ- দু-রকমই হয়। ঠাকুরবাড়িতে হত রুই মাছের বাটি চচ্চড়ি। গরম ভাতে এটা থাকলে আর কিছু লাগবে না। ঠাকুরবাড়ির এই পদের রেসিপি জেনে নিন

রুই মাছের বাটি চচ্চড়ি করতে লাগবে মাঝারি মাপের রুই মাছ, সর্ষের তেল, পাঁচফোড়ন, কাঁচালঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, হলুদ গুঁড়ো, সর্ষে বাটা, স্বাদমতো নুন ও পরিমাণ মতো জল

প্রথমে রুই মাছ কেটে ভাল করে ধুয়ে নিন। এবার নুন-হলুদ মাখিয়ে মাছের পিসগুলি ভাল করে ভেজে নিন। এবার লঙ্কা, তেজপাতা, পাঁচফোড়ন এবং সর্ষেবাটা ভাল করে মাছে মাখিয়ে নিন

একটি পিতলের বাটিতে মশলা মাখানো মাছের পিসগুলি রাখুন। উপর থেকে খানিক সর্ষের তেল দিন। এবার বাটিতে চাপা দিয়ে হালকা আঁচে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখুন। খানিক পর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন। তৈরি রুই মাছের বাটি চচ্চড়ি। এবার গরম ভাতে পরিবেশন করুন। চেটেপুটে খাবে সকলে