
চুল পড়তে শুরু করলে, খুশকির সমস্যা দেখা দিলে রাতের ঘুম চলে যায়। চুলের আগের থেকে বেশি পাতলা হয়ে গেলে সবাই চিন্তায় পড়ে। তাই চুলের যত্ন আপনাকে নিতেই হবে।

চুলের যত্ন নিতে বেশিরভাগ মানুষ শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের উপর জোর দেন। অনেকে আবার নিয়ম করে পার্লারে গিয়ে হেয়ার স্পা করান। কিন্তু এগুলোই যথেষ্ট নয়।

চুলের যত্নে আপনাকে বেছে নিতে হবে প্রাকৃতিক সমাধান। অর্থাৎ, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের খেয়াল রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে হেঁশেলে থাকা উপাদানই আপনার কাজে আসবে।

আদার মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াম ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। এটি খুশকি দূর করতে এবং স্ক্যাল্পের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। জলে আদা ফুটিয়ে টনিক বানিয়ে নিন। ২দিন অন্তর এই আদার জল চুল ও স্ক্যাল্পে স্প্রে করুন।

লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। এই উপাদান চুল পড়া কমায়, স্ক্যাল্পে জমে থাকা তেল, ময়লা ও খুশকি দূর করে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এটি স্ক্যাল্পকে ভাল রাখবে।

চুলের সমস্যা দূর করতে পেঁয়াজের তেলের জুড়ি মেলা ভাল। পেঁয়াজের তেল যেমন চুল পড়া কমায়, তেমনই নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া পেঁয়াজের তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা পাকা চুলের সমস্যা দূর করে।

ডিম খেলেও যেমন আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, একইভাবে চুলে মাখলেও কাজ দেবে। ডিমের মধ্যে বায়োটিন ও ফোলেট রয়েছে, যা চুলের সমস্যা দূর করে। সপ্তাহে ১দিন টক দইয়ের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন।

চুলের যত্নে কার্যকর কারি পাতা। এটি আপনার চুলকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলের সঙ্গে কারি পাতা ভাল করে ফুটিয়ে রেখে দিন। নিয়মিত এই কারির পাতার তেল মাখলেই আপনি পেয়ে যাবেন ঘন চুল।