
রান্নাঘরে তাকে পড়েই থাকে ভিনিগারের শিশি। খুব বেশি রান্নায় ব্যবহার হয় না। তবু, ছানা কাটাতে কিংবা স্যুপের স্বাদ বাড়াতে প্রয়োজন পড়ে ভিনিগারের।

রান্নায় স্বাদ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ভিনিগার। কিন্তু রান্নাঘরকে চকচকে ও ঝকঝকে করে তুলতেও ভিনিগারের অবদান কম নয়। এছাড়া বাড়ির এমন আরও অনেক কাজ আছে, যা সহজ করে দেয় ভিনিগার। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।

মাইক্রোওয়েভের ভিতরে খুব ময়লা জমেছে? এমনকী মাইক্রোওয়েভের বাইরেও তেলচিটে দাগ? এই সমস্যাকে নিমেষে দূর করুন ভিনিগার দিয়ে। বাসন মাজার তরল সাবানে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এতে স্পঞ্জ ডুবিয়ে মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করে নিন।

রান্নাঘরে দেওয়ালে, গ্যাসওভেনে তেলচিটে দাগ জমেছে? বেকিং সোডার সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে রান্নাঘর মুছে নিন। সমস্ত তেলচিটে দাগ, ময়লা সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ঘরের দরজা-জানালা পরিষ্কার করতেও আপনি ভিনিগারের সাহায্য নিন। জল ও তরল সাবানের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এরপর এটা দিয়ে দরজা-জানালা, ঘরের মেঝে পরিষ্কার করে নিন।

বাজার থেকে কিনে আনা ফল ও সবজি ধুতে ভিনিগারের সাহায্য নিন। পরিষ্কার জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে দিন। এতে ফল ও সবজি ডুবিয়ে ধুয়ে নিন। সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ ধুয়ে যাবে।

মশা, পোকামাকড় কামড়ালে ত্বকে উপর লালচে ভাব, ফোলাভাব দেখা দেয়। ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ভিনিগার। জলের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগালে কমবে প্রদাহ।

ঋতু পরিবর্তন হলেই গলা ব্যথায় ভোগেন। গরম জলে নুন ও ভিনিগার মিশিয়ে গার্গেল করুন। এটি আপনাকে গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।