
অনেকের অপছন্দ হলেও বেশিরভাগই কুংড়োর তরকারি দিয়ে রুটি-লুচি খেতে পছন্দ করেন। আমাদের হেঁশেলে অনেক প্রাচীন রান্না রয়েছে যার মূল উপকরণ হল কুমড়ো। কুমড়োর ছেঁচকি, ছোলা দিয়ে কুমড়োর তরকারির স্বাদই আলাদা হয়

পুজোবাড়িতে ভোগ প্রসাদে এই কুমড়োর তরকারি থাকেই। রুটির সঙ্গে ছোলার ডাল খেতে দারুণ লাগে। তবে একবার কুমড়ো দিয়ে বানিয়ে নিন ছোলার ডাল। এভাবে বানিয়ে নিতে পারলে খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই বানিয়ে নেওয়া সহজ।

মিষ্টিকুমড়োর খোসা ছাড়িয়ে আলুভাজার মত করে কেটে নিতে হবে। ৪০০-৪৫০ গ্রাম কুমড়ো হলেই হবে। অন্যদিকে ১ বাটি ছোলার ডাল ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে দু চামচ সরষের তেল দিয়ে কালোজিরে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন

এর মধ্যে চারটে কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে কেটে রাখা কুমড়ো দিন। স্বাদমতো নুন আর হলুদ মেশান। আঁচ কমিয়ে ২ মিনিট ভেজে নিয়ে এর মধ্যে ভেজানো ছোলার ডাল তিন চামচ দিন

ছোলার ডাল আর মিষ্টি কুমড়ো ভাল করে ভেজে নিয়ে আঁচ কমিয়ে রান্না করতে হবে। এই রান্নায় কোনও জল পড়বে না। এবার এর মধ্যে ৩ চামচ নারকেল কোরা মিশিয়ে দিতে হবে

এক চামচ চিনি দিন। রুটি-লুচির সঙ্গে যে তরকারি খাওয়া হয় তা মিষ্টি হলেই খেতে ভাল লাগে। এবার ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। তাহলে অতিরিক্ত জল ছেড়ে আসবে আর কুমড়ো সেদ্ধ হয়ে যাবে

এবার ঢাকা তুললে দেখবেন কুমড়ো গলে গিয়ে মাখা মাখা হয়ে যাবে। ছোলার ডালও সেদ্ধ হয়ে আসবে। কড়া থেকে যখন একদম ছেড়ে আসবে তখনই নামিয়ে নিতে হবে

গরম গরম রুটি, লুচির সঙ্গে এই চচ্চড়ি খেতে খুবই ভাল লাগে। খেতে পারেন রাতে রুটির তরকারি হিসেবেও। পুজোর দিনে বাড়িতে ভাল-মন্দ রান্না হবে। আর তাই ব্রেকফাস্ট মেনুতে রাখতে পারেন এই তরকারি