সায়ম কৃষ্ণ দেব
Jan 05, 2025 | 3:43 PM
প্রেম কী আর কোনও বাধা মানে? সে যে কখন কার সঙ্গে হয়ে যাবে, তা বোঝা মুশকিল। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় তেমন এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল দুই যুবতীর। পরিচয় গড়ায় বন্ধুত্বে। এরপরেই ফোনে কথা বলা শুরু করেন দুজনে। ক্রমে সেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। এরপরেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। নিজেদের গ্রাম ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার মামুরা গ্রামে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁরা।
দুজনেই একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে দুই যুবতী বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের দাবি তাঁরা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রীর মতো দেখেন।জানা গিয়েছে প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে দুজনের পরিচয় হয়।
একজন মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা, দ্বিতীয়জনের বাড়ি সাহারানপুরে। বন্ধুত্ব প্রেমের পরিণতি পেলেই বারি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বাড়িতে চাকরি করছে বলেই নয়ডায় চলে আসে তাঁরা। কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়, ওই দুই যুবতীর বাড়ির লোকেরাও বিষয়টি জানতে পারেন। পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রেম ও বিয়ের কথা জানতে পারলে তারা বিয়ের বিরোধিতা করে। তাঁদের দুজনকেই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে আসার কথাও বলা হয়।
এরপরে জবলপুরের বাসিন্দা মেয়েটির ভাই দিদিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে নয়ডায় যায়। তারপরেই ভয় পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয় দুই যুবতী। নিজেদের সম্পর্কের কথা পুলিশকে জানিয়ে তাঁদের বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন তিনি। তাঁরা বলেন, "স্যর আনাদের বিয়ে দিয়ে দিন।"
পুলিশ দুই মহিলাকে বাড়ি ফেরার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকেন তাঁরা। অবশেষে মহিলাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলেও দুজনেই তাঁদের সঙ্গে যেতে অস্বীকার করে। যুবতীরা জানান, পরিবারের সঙ্গে ফিরে গেলে তাঁরা একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাবে। কিন্তু তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করতে চান। এর আগেও এমন বহু বিচ্ছেদের ঘটনা সামনে এসেছে।