
ফাস্টফুড(Fastfood), ভাজাভুজির উপর লোভ সামলানো বড় কঠিন। অনেকেই এই ব্যাপারে লাগাম টানতে পারেন না। ফলে নিজের বিপদ ডেকে আনেন নিজেই।

বহু চেষ্টা করেও কমাতে পারছেন না তো এসব লোভনীয় খাবারের ঝোঁক? আপনার জন্য রইল কিছু আয়ুর্বেদিক উপায়...

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, শরীরে ঘুমের ঘাটতি ঘটলে এই ধরণের খাবারের লোভ বাড়ে। তাই রাত ১১ টার আগে ঘুমোনোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয় রাতে জেগে থাকলে ডায়াবেটিসের সমস্যার মতো একাধিক শারীরিক সমস্য়ার ঝুঁকি বাড়ে।

ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম জল খান। এতে হজম ভাল হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমে সাহায্য করে এই গরম জল। আর সেই সঙ্গে যেটা আপনাকে নিয়মিত করতেই হবে সেটি হল শরীরচর্চা। এর কোনও বিকল্প নেই।

দুপুরের খাবারে মিষ্টি, নোনতা,টক এই তিন ধরণের স্বাদ থাকা চাই। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতে এই তিন ঘরণের স্বাদই মানুষের জন্য ভীষণভাবে প্রয়োজন। আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে,প্রোটিনযুক্ত খাবার যেন অবশ্যই থাকে রোজের পাতে।

খাবার খাওয়ার পর মৌরী খান। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, এতে ভাজাভুজির লোভ কমে। তাই নিয়মিত খাবার খাওয়ার পর মুখশুদ্ধি হিসেবে মৌরী খান। কারণ এই মৌরীর গুণাগুণ অনেক।

দুপুরের খাবারে প্রথমে মিষ্টি স্বাদযুক্ত কিছু খান। তারপর অন্য়ান্য খাবার খান। ঘি খাওয়ার অভ্য়েস করুন। মাঝেমধ্যে ঘি খাওয়া শরীরে জন্য ভাল।

রান্নায় শুকনো আদার গুঁড়ো ব্যবহার করুন। এবং সবশেষে খাওয়া-দাওয়ার পর বজ্রাসনে বসুন। আর যদি নিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার পর ১০০ পা হাঁটতে পারেন, তবে তো আর কথাই নেই। এতে খাবার হজম হবে আর শরীরও সুস্থ থাকবে।