ভাতের ফ্যান ঝরিয়ে ফেলে দেন। আয়ুর্বেদে কিন্তু এই ভাতের ফ্যানকে ফেলতে বারণ করছে। বরং, ভাতের ফ্যানে আরও মশলা দিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু কেন?
আয়ুর্বেদের মতে, ভাতের ফ্যান পুষ্টিতে ভরপুর। আর যখনই এই পানীয়তে বিটনুন, দারুচিনির গুঁড়ো, আদার গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো আর ঘি মিশিয়ে খাবেন, উপকারিতাও পাবেন হাজারো।
এই মশলাদার ভাতের ফ্যান হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। জিরে, আদার মতো উপাদান হজমজনিত সমস্যা দূর করে। গ্যাস, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
রোজের ডায়েটে মশলা মেশানো ভাতের ফ্যান রাখলে দেহে রোগের ঝুঁকিও কমবে। এই আয়ুর্বেদিক পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
আদা, জিরে, ঘিয়ের মতো উপাদান প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এই আয়ুর্বেদিক পানীয় শারীরিক প্রদাহ কমাতে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। দূর করে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যাও।
রোজের ডায়েট রাখতে পারেন আয়ুর্বেদিক মশলাদার ভাতের ফ্যান। এই পানীয় খেলে দেহে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ, অ্যানজাইটি, ডিপ্রেশনের হাত থেকেও মুক্তি দেয় মশলাদার ভাতের ফ্যান। পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেটেড ও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান।
ওজন কমানো, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, সর্দি-কাশির সমস্যা প্রতিরোধ করার কাজও দক্ষতার সঙ্গে এই আয়ুর্বেদিক পানীয়। এমনকি ত্বকের সমস্যাও কমায় মশলাদার ভাতের ফ্যান।