
সকালে ভেজানো আমন্ড, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। এর মধ্যে কিশমিশও রয়েছে। ভেজানো কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ভেজানো কিশমিশগুলো খেয়ে নিলেও জলটা ফেলে দেন। এখানেই কিন্তু ভুল করেন।

পুষ্টিবিদদের মতে, ভেজানো কিশমিশের মতোই পুষ্টিকর কিশমিশ ভেজানো জল। কিশমিশ ভেজানো জল ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়।

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে কিশমিশ ভেজানো জল। এমনকি হজমে সহায়তা করে এই জল। কিশমিশ ভেজানো জল খেলে আর কী-কী উপকারিতা পাওয়া যায়, দেখে নিন এক নজরে।

কিশমিশ ভেজানো জল কখনওই ফেলবেন না। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এছাড়াও এই জলে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।

ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে শরীরে এনার্জি লেভেল বাড়ে, শারীরিক প্রদাহ কমে এবং লিভারের কার্যকারিতাকে উন্নত করে। এতে ইমিউনিটি বাড়ে এবং ওজন কমে।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই কিশমিশ ভেজানো জল খান। এই জলের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া এই পানীয়তে আয়রন রয়েছে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে কিশমিশ ভেজানো জল খান। এই পানীয়তে থাকা ফাইবার পাচনতন্ত্র ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। শরীরে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে কিশমিশ ভেজানো জল।

এক কাপ জলে ১০-১৫টি কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ভেজানো কিশমিশগুলো খান। তার সঙ্গে কিশমিশ ভেজানো জলটাও খেয়ে নিন। এতেই দেখবেন রোগমুক্ত জীবনযাপন করছেন।