
শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই সানস্ক্রিন মাখতে হয়—এই ধারণা এক্কেবারে ভুল। আর এই ভুল ধারণার জেরেই বেড়ে চলেছে ত্বকের সমস্যা। মেঘলা দিনে, এমনকি মুষলধারে বৃষ্টি হলেও সানস্ক্রিন না মেখে বেরোনো উচিত নয়।

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন অপরিহার্য। বৃষ্টির দিনে মেঘের আড়াল থেকে সূর্য্যি মামা না বেরোলেও, তার ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের সংস্পর্শে আসে। তখন ত্বকের উপর সানস্ক্রিন না থাকলে একাধিক সমস্যা বাড়ে।

বর্ষাকালেও কিন্তু ট্যান পড়ে। এমনকি সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের অকাল বার্ধক্যের জন্যও দায়ী। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে বলিরেখা, দাগছোপের সমস্যা বাড়ায়। সানস্ক্রিন মাখলে এসব সমস্যা এড়াতে পারবেন।

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের সংস্পর্শে আসে এবং ত্বক মেলানিন নামক একটি রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এই মেলানিন অত্যধিক পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বক কালো বা পুড়ে যায়। এই ঘটনা বর্ষাকালেও ঘটতে পারে। সানস্ক্রিন মাখলে এই ভয় থাকে না।

সানস্ক্রিন ত্বকের সুরক্ষা কবচ। এটি ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। দাগছোপ, বলিরেখা প্রতিরোধের পাশাপাশি সানস্ক্রিন ত্বককে ক্যানসারের হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখে।

বৃষ্টির দিনে সানস্ক্রিন মাখা জরুরি। তবেই ত্বককে আপনি অকাল বার্ধক্য, ট্যান ও ক্যানসারের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। বৃষ্টির দিনে বাইরে না বেরোলেও বাড়িতেও সানস্ক্রিন মাখবেন।

মর্নিং স্কিন কেয়ারের অবিচ্ছেদ্য অংশ সানস্ক্রিন। দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোকে থাকলে আপনাকে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তরই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। কিন্তু বর্ষাকালে কোন ধরনের সানস্ক্রিন মাখলে সেরা ফল পাবেন?

বর্ষাকালে এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু এই মরশুমে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে, তাই ক্রিম বেসড সানস্ক্রিন মাখা যায় না। ত্বকের অস্বস্তি এড়াতে আপনি জেল বেসড সানস্ক্রিন কিংবা সানস্ক্রিন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।