
পুষ্টিবিদরা ডায়েটে এখন ইয়োগার্ট রাখতে বলছেন। আর আপনি সেটা শুনে রোজ টক দই খাচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি, এই ইয়োগার্ট ও টক দই একে-অপরের থেকে আলাদা?

ইয়োগার্ট ও টক দই দুটোই দুধ থেকে তৈরি হয়, ক্রিমি টেক্সচার, প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। এমনকী দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত। তৈরির করার পদ্ধতিও কিছুটা একই রকম। তবু ইয়োগার্ট ও টক দই আলাদা।

ইয়োগার্ট ও টক দইয়ের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম ও প্রোবায়োটিক পাওয়া যায়। তুলনা করে দেখা যাবে, দইয়ের ইয়োগার্টে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বেশি। অর্থাৎ, ইয়োগার্ট খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য বেশি ভাল থাকবে।

ইয়োগার্ট ও টক দই দুধ থেকে তৈরি হলেও প্রক্রিয়া পদ্ধতি আলাদা। টক দই যে গাঁজন পদ্ধতিতে তৈরি হয়, তাতে প্রথম থেকেই ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। ইয়োগার্ট বানানোর পদ্ধতি আলাদা।

ইয়োগার্ট তৈরিতে ল্যাক্টোব্যাসিলাস বুলগ্যারিকাস এবং স্ট্রেপটোকক্কাস থার্মোফিলাস ব্যাক্টেরিয়ার স্ট্রেইন প্রবেশ করানোর হয়। এতে ইয়োগার্টের স্বাদ ও টেক্সচার আলাদা হয়। পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার মাত্রাও বেশি হয়।

যাঁদের দুধে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দুধের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। তবে, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সে সবচেয়ে ভাল উপকার পাবেন যদি ইয়োগার্ট খান। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।

টক দইয়ের থেকে ইয়োগার্টে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি নানা উপায়ে উপকারিতা প্রদান করে। ইয়োগার্টের প্রোবায়োটিক হজম উন্নত করে, ইমিউনিটি বৃদ্ধি ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে।

রান্নায় টক দই ও ইয়োগার্ট দুটোই ব্যবহার হয়। ওটস, স্মুদি বানানোর ক্ষেত্রে, সস, ড্রেসিং, ডিপ ও ডেজার্টে ইয়োগার্ট ব্যবহার করুন। ম্যারিনেশন, কারি বানাতে টক দই ব্যবহার করলে বেশি ভাল স্বাদ পাবেন।