মাথায় হাত দিলেই মুঠো-মুঠো চুল উঠে আসে। যত দিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে এই চুল পড়ার সমস্যা। এই ধরনের চুল পড়ার সমস্যাকে এড়িয়ে যাবেন না। দেহে আয়রন, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
চুল পড়ার সমস্যার পিছনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েডের সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমও দায়ী থাকতে পারে। তাই চুল পড়ার সমস্যাকে হালকাভাবে নেবেন না। এমনকী অনেক সময় মানসিক চাপও আপনার চুলের দফারফা অবস্থা করতে পারে।
চুল পড়ার সমস্যাকে প্রতিরোধ করার জন্য যেমন কারণগুলোর উপর পক্ষপাত করবেন, তেমনই সাধারণ কিছু নিয়মও মেনে চলবেন। যেমন নিয়মিত চুল কাটা, গরম জলে চুল না ধোয়া, ভিজে অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো এবং ঘন ঘন স্টাইলিং টুলস ব্যবহার না করা।
চুল পড়ার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার চয়ন করুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন। আর শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
ঘন ঘন চুলের পণ্য পরিবর্তন করবেন না। চুলের যত্নে অতিরিক্ত প্রসাধনী পণ্যেরও কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। চুলে যত রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করবেন, চুল ততই ভাল থাকবে। একইভাবে, চুলে খুব বেশি হিট প্রয়োগ করবেন না। তাই স্টাইলিং টুলস ব্যবহার না করাই ভাল।
চুল পড়া রোধ করতে আপনাকে সঠিক ডায়েট মেনে খাবার খেতে হবে। এতে যেমন শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে, তেমন শারীরিক সমস্যাও কমবে। অন্যদিকে, নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। জানেন কি, যোগাসন করলে আপনার চুল পড়া কমতে পারে? পাশাপাশি এতে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হবে।
যদি প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের খেয়াল রাখতে চান, তাহলে কলা, ডিম, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, দই, অ্যালোভেরার মতো প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এছাড়া চুল পড়া রোধ করতে এসেনশিয়াল অয়েলেরও সাহায্য নিতে পারেন। চুল পড়া রোধ করতে ল্যাভেন্ডার অয়েল, পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল এবং রোজমেরির তেল সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। তেল কিংবা শ্যাম্পুর সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।