
গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক রাখতে পোশাকের সঠিক নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। এই সময় কটন বা সুতি কাপড়ের শার্ট পরা সবচেয়ে উপযোগী ও স্বাস্থ্যসম্মত। কটন শার্ট কেন পরবেন?

শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়া যায় এমন ফ্যাব্রিক - কটন একটি প্রাকৃতিক তন্তু, যা বায়ু চলাচলে সাহায্য করে। এটি শরীরের ঘাম শুকিয়ে ফেলে ও বাতাস চলাচল করতে দেয়। ফলে গরমে দেহ ঠাণ্ডা থাকে এবং অতিরিক্ত ঘাম হয় না।

আরামদায়ক ও কোমল - সুতি কাপড় খুবই কোমল ও ত্বকের পক্ষে আরামদায়ক। গরমে ঘামের কারণে অনেক সময় ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। কটন শার্ট এসব সমস্যা কমিয়ে দেয় কারণ এটি ত্বকে মসৃণ অনুভূতি দেয়।

ঘাম শোষণের ক্ষমতা বেশি - গরমে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু কাপড় যদি ঘাম শোষণ না করে, তাহলে অস্বস্তি তৈরি হয়। কটন শার্ট ঘাম খুব ভালভাবে শোষণ করে এবং ত্বক শুকনো রাখে, ফলে ব্যাকটেরিয়া বা দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

অ্যালার্জি ও ত্বকের সমস্যা কমায় - অনেক কৃত্রিম ফ্যাব্রিক যেমন নাইলন বা পলিয়েস্টার ত্বকে অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে গরমে। কটন কাপড় হাইপোঅ্যালার্জেনিক, অর্থাৎ এটি ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে না, বরং ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

সহজে ধোয়া ও যত্ন নেওয়া যায় - কটন শার্ট খুব সহজে ধোয়া যায় এবং বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। ঘন ঘন ধোয়ার প্রয়োজন হলেও এটি তার গুণগত মান হারায় না, বরং পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত থাকে।

তাপ প্রতিফলনে সাহায্য করে - সাদা বা হালকা রঙের কটন শার্ট সূর্যালোক প্রতিফলিত করে এবং তাপ শোষণ করে না। এতে শরীর তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা থাকে, যা গরমের দিনে অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।

পরিবেশবান্ধব ও টেকসই - কটন একটি প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব তন্তু। এটি পরিবেশের ক্ষতি না করে সহজেই পরিশ্রুত হয়। একইসঙ্গে এটি টেকসই, অর্থাৎ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।