
বব মার্লের একটা কথা রয়েছে, ‘One good things about music when it hits you, you feel no pain.’ মনকে ভাল রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় গান। মন খারাপ হোক বা ভাল, গান হতে পারে আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী।

গবেষণা বলছে, গান শুনলে মন ভাল থাকে। বিশেষত, শ্রুতিমধুর গান বা সুদিং মিউজিক মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। মনের যত্ন নিতে গান শুনুন।

শ্রুতিমধুর গান মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। হাজার একটা ঝামেলার মাঝে প্রিয় গান শুনলে রক্তচাপ কমে, হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যায়। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

ঘুমনোর সময় হালকা ও সুদিং মিউজিক শুনলে ঘুম ভাল হয়। যাঁরা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, বার বার ঘুম ভেঙে যায়, তাঁরা ঘুমনোর সময় গান শুনতে পারেন। এই অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

গান শুনলে মন ফুরফুরে থাকে। শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতেও কাজে আসে গান। মিউজিক থেরাপি সম্পর্কে হয়তো কেউ জানেন, আবার কারও অজানা। কিন্তু এই থেরাপি মৃত্যুর মুখ থেকে আপনার প্রাণ ফেরাতে পারে।

মিউজিক থেরাপিতে মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার গানের সাহায্য নেওয়া হয়। গান, সুর, বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে মানুষের চিকিৎসা করা হয়। এতে দুশ্চিন্তা কমে। শরীরে বাড়ে 'হ্যাপি হরমোন'-এর মাত্রা।

গান শুনলে আপনি শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণার কথা ভুলে যেতে পারেন। ভাল গানের মাঝে মস্তিষ্কে ব্যথার সিগন্যাল কম পৌঁছায়। তাছাড়া ভাল গান আপনার দেহে ডোপামিনের মতো 'ফিল-গুড' হরমোনের মাত্রা বাড়ায়।

কাজ করতে করতে গান শুনতে কাজের গতি বাড়ে। কাজ অনেক দ্রুত হয় এবং ভাল হয়। এমনকি সৃজনশীল কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তাই আজ, ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে গান শুনুন আর মনকে ভাল রাখুন।