Jane Dipika Garrett: হাজার হাজার যুবকের বুকে ঝড় তুলছেন নেপালের দীপিকা
Miss Nepal: মহিলাদের স্বাস্থ্য ও বডি-পজিটিভিটি নিয়ে প্রচার করেন জেন। মিস নেপাল খেতাব জেতার পর জেন দীপিকা বলেন, "গোলগাল মহিলারা, যারা তথাকথিত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠিতে আসেন না, তাঁদের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করছি। মহিলারা যারা ওজন বৃদ্ধি ও হরমোনের সমস্যা নিয়ে ভোগেন, তাঁদের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করছি আমি"।
মোটা হলেই নাকি আর সুন্দর দেখতে লাগে না! আঁটসাঁট পোশাক তো দূরের কথা, পছন্দসই কোনও পোশাক পরতে গেলেও অনেককেই শুনতে হয়, মোটা বলে তাঁকে মানাবে না। এই ধারণাকেই ভেঙে দিচ্ছেন এই মডেল। প্রতিদিন প্রমাণ করছেন,ভারী শরীরেও মডেলিং করা যায়। জেতা যায় সৌন্দর্য্যের খেতাব।
কথা হচ্ছে জেন দীপিকা গ্যারেটকে নিয়ে। আর বাকি পাঁচজন ছিপছিপে চেহারার মডেল নন তিনি। প্লাস সাইজ মডেলিং করেন তিনি। শরীরের গড়ন ভারী হলেও, সৌন্দর্য্যে কোনও অংশে কম নন তিনি।
২০২৩ সালে মিস নেপাল খেতাব যেতেন জেন। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাতেও নাম লিখিয়েছেন জেন।
বিশ্ব সুন্দরীর প্রতিযোগিতায় জেনই প্রথম প্লাস সাইজ প্রতিযোগী। ২৩ বছর বয়সী এই মডেল নেপালের কাঠমাণ্ডুর, তবে তাঁর জন্ম আমেরিকায়।
৫ ফুট ৭ ইঞ্চির উচ্চতা জেনের। তাঁর ওজন ৮০ কেজি। মডেলিং করার পাশাপাশি তিনি পেশায় নার্সও বটে। কাঠমাণ্ডুতে রয়েছে অন্য ব্যবসাও।
মহিলাদের স্বাস্থ্য ও বডি-পজিটিভিটি নিয়ে প্রচার করেন জেন। মিস নেপাল খেতাব জেতার পর জেন দীপিকা বলেন, "গোলগাল মহিলারা, যারা তথাকথিত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠিতে আসেন না, তাঁদের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করছি। মহিলারা যারা ওজন বৃদ্ধি ও হরমোনের সমস্যা নিয়ে ভোগেন, তাঁদের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করছি আমি"।
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে জেন বলেন, "কয়েক বছর আগেও আমি ভীষণই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। অতিরিক্ত ওজনের জন্য আমার আত্মবিশ্বাসও খুব কম ছিল। কিন্তু এখন আমি নিজেকে খুব ভালবাসি। এটাই আমার কাছে সাফল্য।"
ভারী চেহারার জন্য যারা নিজেদের সুন্দর বলে মনে করেন না, তাদের উদ্দেশে জেন বলেন, "আমার মনে হয়, সৌন্দর্য্যের নির্দিষ্ট কোনও মাপকাঠি হতে পারে না। প্রত্যেক মহিলাই তাদের নিজের মতো করে সুন্দর।"