
করোনার লকডাউন খোলার পর থেকে ভারতের সবচেয়ে হটস্পট এখন কাশ্মীর উপত্যকা। ১০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ভূস্বর্গ এখন সকলের কাছের হয়ে উঠেছে। শীতের কাশ্মীর দেখার স্বপ্ন যাঁরা দেখেন, তাঁরা এবারের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

অক্টোবর থেরে শীতের উষ্ণতা বাড়ে। চলে মার্চের শুরু পর্যন্ত। এই কয়েকটা মাসেই সাদা বরফের চাদরে মুড়ে যায় গোটা ভূস্বর্গ। পুরো উপত্যকা তুষারে ঢাকা থাকায় তার সৌন্দর্যের মহিমা উপভোগ করার আনন্দই আলাদা।

সবুজ উপত্যকা যে কীভাবে একরাতের মধ্যে সাদা চাদরে ঢেকে যায়, সেই কল্পনায় বিভোর থেকেই মানুষের ভিড় বাড়ে শীতের মরসুমেও। গ্রীষ্ম ও শীতে, দুই রূপ ভূস্বর্গের। দুই জগতেই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়।

স্কিং থেকে শুরু করে বরফে ঢাকা সারি সারি পাইন গাছের দৃশ্য দেখা সৌভাগ্যের । শীতের দিনে কাশ্মীর আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। তবে যতই কঠিন হোক না কেন, শীতের মরসুমে উপত্যকার রূপ আরও আনন্দময়, রোমাঞ্চ হয়ে ওঠে।

লিডার নদীর তীরে বরফে ঢাকা তৃণভূমি ও পর্বতের মাঝে বেতাব উপত্যকা যে কোনও পর্যটকের কাছে স্বপ্নের রাজ্য হিসেবে পরিচিত।

বরফে ঢাকা শালিমার বাগ , মুঘল গার্ডেনকে একেবারে স্বপ্নের রাজ্যের মত দেখায়। শীতের পর এই প্রসিদ্ধ বাগানগুলিতেই সবুজ ও রঙিন ফুলে ঢেকে যায়। ফটোগ্রাফারদের স্বর্গরাজ্য বলা যেতে পারে।

শীতের শুরুতেই সোনমার্গে ব্যপক তুষারপাতের কারণে পুরো উপত্য়কাই বরফের চাদরে ঢেকে যায়। গ্রীষ্মের সময় এই উপত্য়কার রূপ শিল্পাীর ক্যানভাসে আঁকা কোনও পার্বত্য এলাকা বলে মনে হয়। কিন্তু শীতের শুরুতেই বরফের মোটা চাদরে ঢেকে দুর্গম হয়ে যায়।

বরফে ঢাকা উপত্যকা যতটা দেখতে সুন্দর হয়, তার থেকেও ভয়ংকর হয় হিমায়িত জল। বাড়ির মাথার উপর থেকে, গাছের ডাল থেকে কিংবা টালির চাল থেকে হিমায়িত জল কিন্তু সাংঘাতিক। বাড়ির পা রাখার আগে সতর্ক থাকা চাই।

শীতকালে ঝিলাম নদীর সৌন্দর্যই অভিন্ন। ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবি রাখার মত ল্যান্ডস্কেপ। শীতকাল মানেই ডাল লেকের ছবি থাকা চাই। খবরের কাগজ থেকে শুরু করে টিভির পর্দায় ডাল লেকের উপার সৌন্দর্য ও রোমাঞ্চের কথা উল্লেখ থাকবেই।