
মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রয়াগরাজে সমাগম হয়েছে সাধু-সন্ন্যাসী থেকে সাধারণ মানুষের।

এসেছেন নাগা সন্ন্যাসীরাও। তাদের বছরের বাকি সময় দেখা যায় না। শুধু কুম্ভমেলাতেই দেখা মেলে।

সারা গায়ে ভস্ম মাখা, কোনও পোশাক নেই, মাথায় বিশাল জটা। এটাই নাগা সাধুদের পরিচিতি।

জানেন কি, নাগা সাধু বা সন্ন্যাসীরা চাইলে সাধারণ মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে?

নাগা সাধুরা সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে আসা পছন্দ করেন না। তারা পাহাড়ি গুহাতেই তপস্যা করে কাটান বেশিরভাগ সময়।

নাগা সাধুরা যেন ঋষি দুর্বাসা। তিনি অত্যন্ত রাগী ছিলেন। রেগে গেলে শাপ দিয়ে দিতেন।

নাগা সন্ন্যাসীদের সামনে কেউ অনুচিত কাজ করলে বা তাদের বিরক্ত করলে, খুব রেগে যান নাগা সাধুরা। সাধারণ মানুষেরও বিশ্বাস, নাগা সাধুরা খুব রাগী হন।

তবে নাগা সাধুরা যদি খুশি হন, তবে বদলে যেতে পারে জীবন। তাদের আশীর্বাদে খুলে যায় ভাগ্য। যা আশীর্বাদ করেন, তাই-ই হয় নাকি।

শুধু আন্তরিক আশীর্বাদই নয়, বিনা দ্বিধায় জীবনের কোনও সমস্যার সমাধানে তন্ত্রমন্ত্র বা প্রতিকার বলে দেন।

দীর্ঘ ১২ বছর তপস্যা করার পর কেউ নাগা সন্ন্যাসী হতে পারেন। এই তপস্যার কারণে তারা অসীম ক্ষমতাশালী হন বলেই বিশ্বাস।

নাগা সন্ন্যাসীরা শিবের পুজারী। তাদের সারা জীবনই শিবের জন্য উৎসর্গ করা।