
মাথাব্যথা এবং এমনকি মাইগ্রেনের একটি সাধারণ কারণ হল আমাদের শরীরে জলের অভাব। তাই সবসময় নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এছাড়াও আপনি ফলের রস এবং ডাবের জল পান করতে পারেন। অন্যদিকে কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এবং অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন।

মাথায়, ঘাড়ে যদি যন্ত্রণা বাড়তে থাকে, তাহলে একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই হল মাসাজ। এর মতো ঘরোয়া উপায় আর কিছু থাকতে পারে না। পরিবারের কাউকে বা বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে মাথার তালুতে ও দুপাশে সারকুলার মোশনে মাসাজ করতে বলুন। বেশিক্ষণ নয়, ৫-৮ মিনিট এইভাবে করলে মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত।

প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা করে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি , ল্যাপটপের মধ্যে মাথা গুঁজে থাকলে মাথা যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। এর কারণে শুধু মাথাতেই নয় চোখের উপরও দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। চোখের উপর চাপ তৈরি হলে স্বাভাবিক ভাবেই মাথা ধরে যায় এই মাথা ধরার সমস্যা এড়াতে স্ক্রিনে চোখ রাখার সীমা বেঁধে দিন টানা কয়েক ঘন্টা কাজ করার পর চোখকে আরাপ দিতে কিছুক্ষণের জন্য ব্রেক নিন। চোখের উপর চাপের বোঝাও অনেকটা কমে যাবে।

মাথাব্যথার চিকিৎসা এবং মাথাব্যথা প্রতিরোধ করার আরেকটি কার্যকর উপায় হল রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো। ঘুমের অভাব আপনার জীবনযাত্রার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এই কারণে আপনাকে শুধু মাথাব্যথা নয়, আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ গভীর ঘুমের দরকার।

সাইনাসের কারণে বা টেনশন থেকে মুক্তি পেতে হট শাওয়ার বা গরম জলে স্নান করলে দারুণ আরাম পাওয়া যায়। স্নান করলে শরীর ঠান্ডা হয়, মন শান্ত হয়। স্ট্রেসের কারণে মাথা যন্ত্রণা শুরু হলে অনেকেই এই সহজ পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। আরও ভাল ফল পেতে স্নানের গরম জলের মধ্যে ল্যাভেন্ডার তেল কয়েক ফোঁটা দিয়ে দিতে পারেন।

টেনশন, আতঙ্ক, উদ্বেগের কারণে মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। এই সময় আরাম পেতে সামান্য রিল্যাক্স করুন। কিথুক্ষণ পর দেখবেন মাথাধরা ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে। মেলোডি গান, বই পড়া কিংবা মেডিটেশন করলে মাথা ধরা থেকে সহজেই মুক্তি মেলে।