
গ্রীষ্মকালে ঘাম ও ধুলোবালির কারণে চুল সম্পর্কিত সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। যার মধ্যে চুল পড়া সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। অনেকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বহু দামি চুলের পণ্য এবং ঘরোয়া প্রতিকারও কাজে লাগান। কেউ কেউ আবার চুলের নানা চিকিৎসা করান। তবে অত টাকা সবাই খরচ করতে পারেন না। তাই বেশিরভাগ মানুষই প্রাকৃতিক উপায়ে তাঁদের চুল মজবুত ও সুস্থ রাখতে চান। (Pic Credit - Freepik)

গরমকালে চুল পড়ার সমস্যা কমাতে এবং চুল মজবুত রাখতে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সূর্যের তীব্র অতিবেগুনি রশ্মির কারণে অনেকের প্রচুর ঘাম হয়। যা মাথার ত্বকে ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যা চুল পড়ার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। (Pic Credit - Freepik)

চুলে ব্যবহার করা হয় এমন নানা পণ্যে উপস্থিত রাসায়নিক চুল পড়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয়। যার ফলে চুল সম্পর্কিত সমস্যা তৈরি হয়। (Pic Credit - Freepik)

গ্রীষ্মকালে সূর্যের রশ্মি থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করার জন্য, রোদে বের হওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করতে হবে। অথবা টুপি পরা দরকার। তা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। এছাড়াও, গ্রীষ্মে মাথার ত্বক দ্রুত নোংরা হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। (Pic Credit - Freepik)

এ ছাড়াও, চুল ধোওয়ার আগে নারকেল তেল লাগানো ভালো। নিজের পছন্দ অনুযায়ী তেলও লাগাতে পারেন। এতে চুলের গোড়া পুষ্টি পাবে। এবং চুল পড়া কমবে। এছাড়াও, সপ্তাহে একবার হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে কেনা অথবা ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক চুলে লাগাতে পারেন। (Pic Credit - Freepik)

বাড়িতে থাকা বেশ কিছু প্রাকৃতিক জিনিসপত্র চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। নিজের চুলের প্রয়োজন অনুযায়ী, উপযুক্ত জিনিস ব্যবহার করা যায়। মেথি বীজের হেয়ার মাস্ক, অ্যালোভেরা জেলের হেয়ার মাস্ক এবং আরও অনেক কিছুই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। (Pic Credit - Freepik)

পেঁয়াজের রস চুল মজবুত করতে সাহায্য করে। আমলা এবং রিঠাও চুলের জন্য উপকারী। তবে গরমে পেঁয়াজের রস ভুলেও বেশি সময় রাখবেন না। তাতে ঘাম হতে পারে। ফলে স্ক্যাল্পে দুর্গন্ধ হতে পারে। (Pic Credit - Freepik)

চুল পড়া আটকাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। খাদ্যতালিকায় ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন এ, ডি, সি, ই এবং বি১২ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, শরীরের প্রয়োজন অনুসারে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। এছাড়াও, সঠিক জীবনধারা গ্রহণ করা দরকার। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঠিক করে ঘুমোতে হবে। মানসিক চাপও কমাতে হবে। (Pic Credit - Freepik)