দূর থেকে তাঁকে একঝলক দেখলে প্রিসেন্স ডায়নার কথা মনে পড়তেই পারে আপনার। ডায়নার মতোই বয় কাট চুল। নাহ্, ব্রিটেনের প্রয়াত রাজবধূর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ইনি হলেন পাকিস্তান ক্রীড়া জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ডায়না বেগ। পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের ডানহাতি মিডিয়াম পেসার।(ছবি:ইনস্টাগ্রাম)
ক্রিকেট ও ফুটবল, দুটোতেই সমান পারদর্শী ডায়না। ২০১৩ সালে মেয়েদের ওডিআই বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৬ সালের আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপেও পাক টিমের একজন ছিলেন ডায়না বেগ। ২০১৮, ২০২০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ এবং চলতি বছরে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপে খেলেছেন। তবে ফুটবলে ডায়নার আসা হঠাৎ করেই। খেলোয়াড়ের অভাব থাকায় ঘরোয়া ফুটবল দলে ডায়নাকে বেছে নেওয়া হয়!(ছবি:ইনস্টাগ্রাম)
২০১৫ সালে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। ফুটবল খেলা বন্ধ করে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন ডায়না। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে ডায়না বেগের।(ছবি:ইনস্টাগ্রাম)
১৯৯৫ সালের ১৫ অক্টোবর গিলগিট-বালটিস্তানের হুনজা প্রদেশে জন্ম ডায়নার। জায়গাটিতে এখনও আধুনিকতার ছোঁয়া সেভাবে লাগেনি। মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলো করার অনুমতি নেই। তাই খেলাধুলোর প্রতি আকর্ষণ তাঁকে লাহোরে টেনে নিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেট ও ফুটবল উভয় খেলাতেই পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২৬ বছরের ডায়না বেগ।(ছবি:ইনস্টাগ্রাম)
সাত হাজার মিটারের বেশি উঁচু পাহাড় আর হিমবাহে ঢাকা রক্ষণশীল গিলগিট বালটিস্তান থেকে জাতীয় দলে প্রবেশ। পরিবারের সমর্থন ছাড়া এতদূর আসতেই পারতেন না। অকপটে স্বীকার করেছেন পাক পেসার। তাঁর কথায়, "আমার পরিবার ক্রিকেট ভালোবাসে। একদিন পাকিস্তান ও ভারত মেয়েদের ক্রিকেট টিমের ম্যাচ দেখি টিভিতে। সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।" (ছবি:ইনস্টাগ্রাম)
পাকিস্তানের হয়ে ৮২টি ম্যাচে ৬৭টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ডায়না বেগ। উর্দু, বুরুশাক্সি (উত্তর গিলগিট-বালটিস্তানের স্থানীয় ভাষা) এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী। বর্তমানে এক সন্তানের মা ডায়না। (ছবি:ইনস্টাগ্রাম)