
বিহারের বেলসন্দ গ্রামে জন্ম পঙ্কজ ত্রিপাঠির। ছোটবেলায় গ্রামের নাটকে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ।

গ্রামে চাষবাস করেছেন এই প্রতিভাবান অভিনেতা। বিদ্যুৎ ছিল না। এমনকী, ভাল স্কুলও ছিল না। প্রকৃতির কোলে, খোলা আকাশে লেখাপড়া করেছেন।

কলেজে পড়ার সময় রাজনীতি করেছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ১৯৯৩ জেল খেটেছেন ৭দিনের জন্য। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে গলা তুলেছিলেন সেসময়।

পঙ্কজের বাবা চেয়েছিলেন তিনি ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করুন। পাটনায় পাঠিয়েছিলেন উচ্চ শিক্ষার জন্য। পাটনাতেই পঙ্কজ নিজের মধ্যে অভিনেতা সত্ত্বাকে চিনতে পারেন।

হোটেল ম্যানেজমেন্টের কোর্স করেছেন পঙ্কজ। একটি হোটেলে দু'বছরের জন্য রান্নাও করেছেন তিনি। কিন্তু তখনও অভিনয়ের ইচ্ছে মন থেকে মুছে যায়নি। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পড়ার সময় অভিনয়ে পিছনে সময় দিতে শুরু করেন।

একটা সময় ভালো করে হিন্দি বলতে পারতেন না পঙ্কজ। তিনি বিহারের ছেলে। ভোজপুরি তাঁর মার্তৃভাষা। পাটনায় উচ্চ শিক্ষা করতে এসে হিন্দি বলা রপ্ত করেন।

একবার ট্রেনে যাতায়াত করার সময় একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন পঙ্কজ। সেই মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। বাড়িতে জানাজানি হওয়ার পর সমস্যাও হয়। কিন্তু নিজের মর্জির মালিক পঙ্কজ সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করেন। তিনি পঙ্কজের স্ত্রী মৃদুলা।