Indonesia Football Violence: চারপাশে ছড়িয়ে মানুষ, উঠেছে কান্নার রোল; ইন্দোনেশিয়ায় রক্তে লাল সবুজ মাঠ
বাংলার মানুষ যখন দেবী আরাধনায় মগ্ন তখন মহা সপ্তমীর দিন সকালে সূদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর। একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের । পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০-তে পৌঁছেছে।
বাংলার মানুষ যখন দেবী আরাধনায় মগ্ন তখন মহা সপ্তমীর দিন সকালে সূদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর। একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের । পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০-তে পৌঁছেছে। আহত অসংখ্য। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাঠে হুড়হুড় করে মানুষ ঢুকে পড়ে মাঠে। ঝামেলার হাত থেকে বাঁচতে গেট দিয়ে পালাতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। যা ফুটবলের ইতিহাসে কালো দিন। (ছবি:টুইটার)
মালাং শহরের কানজুরহা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্য়াচ ছিল জাভার দু’টি ক্লাব পার্সিবায়া সুরাবায়া ও আরেমার মধ্যে। পার্সেবায়া এই ম্যাচে ৩-২ গোলে আরেমাকে হারিয়ে দেয়। অভিযোগ, ম্য়াচ হারতেই আরেমার সমর্থকরা অপরপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। (ছবি:টুইটার)
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে অবস্থা আরও বিগড়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে ভিড় সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। তাতেই ক্ষুব্ধ সমর্থকরা পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। (ছবি:টুইটার)
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল আর্মড ফোর্স নেমে পড়ে। সেনা জওয়ানদের প্রচেষ্টায় বিক্ষোভকারীদের কোনওক্রমে স্টেডিয়াম থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। (ছবি:টুইটার)
এখানেই শেষ নয়। স্টেডিয়াম ছাড়ার পরও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এতে স্টেডিয়ামের আশেপাশের জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। (ছবি:টুইটার)
ইন্দোনেশিয়ার এই ভয়ঙ্কর হিংসার পর, এখন BRI Liga 1 লিগ আগামী সাতদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (PSSI) জানিয়েছে, পার্সেবায়া ম্যাচটি ৩-২ ব্যবধানে জেতার কারণেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। (ছবি:টুইটার)