
পিতৃপক্ষের সূচনা হয়ে গেল আজ, ৭ সেপ্টেম্বর। আর এই পিতৃপক্ষের সূচনাতেই মহাবিশ্বে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, একদিকে চন্দ্রগ্রহণ, অপরদিকে শনির বক্রী গতি এক শক্তিশালী এবং অত্যন্ত অসাধারণ যোগের জন্ম দিয়েছে। (ছবি-পিটিআই)

হিন্দু ধর্মে পিতৃপক্ষের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, এই ১৫ দিনে পূর্বপুরুষরা তাঁদের বংশধরদের সঙ্গে দেখা করতে পৃথিবীতে আসেন। এই সময়কালে করা শ্রাদ্ধ, তর্পণ এবং পিণ্ডদানে তাঁদের আত্মা তৃপ্ত ও তুষ্ট হয় এবং তাঁরা তাঁদের বংশধরদের সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি দিয়ে আশীর্বাদ করেন। (ছবি-পিটিআই)

ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা অবধি যে সময়কাল, তাকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, পিতৃপক্ষ চলাকালীন বিপদ এড়াতে বেশ কিছু কাজ করতে নেই। চলুন জেনে নিন সেগুলি কী কী। (ছবি-পিটিআই)

পিতৃপক্ষের সময় নতুন কোনও প্রকল্প শুরু করা বা নতুন কোনও উদ্যোগ শুরু করা এই সময় শুভ নয়। এ ছাড়া এই সময় বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান, বিবাহ, কোনও উৎসব উদযাপন এড়িয়ে চলাই ভাল। (ছবি-পিটিআই)

পিতৃপক্ষের সময় নতুন কোনও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়। এই সময় নতুন যানবাহন, গয়না, পোশাক বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র না কেনাই ভাল। (ছবি-পিটিআই)

পিতৃপক্ষের সময় আমিষ খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। অ্যালকোহল, নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা এই সময় উচিত নয়। এই সময় আধ্যাত্মিক শুদ্ধির জন্য এগুলো না খাওয়াই ভাল। (ছবি-পিটিআই)

পিতৃপক্ষের সময় সাধারণত চুল ও নখ কাটা অশুভ বলে ধরা হয়। বলা হয়, এমনটা করলে পূর্বপুরুষদের আত্মার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়। এই সময় ব্রাহ্মণ ও অতিথিদের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। (ছবি-পিটিআই)

পিতৃপক্ষের সময় তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। বাড়িতে এই সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখলে শুভ ফল মেলে। এই সময় রাতে ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়া ভাল। শ্রাদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা খাবার এ সময় পূর্বপুরুষদের না দেওয়ার আগে খাবেন না। (ছবি-পিটিআই)

বিশেষ দ্রষ্টব্য- এই প্রতিবেদনের বক্তব্য হিন্দু শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Banglaর। (ছবি-পিটিআই)