বলা হয়, ঠুঁটো জগন্নাথ। অর্থাৎ জগন্নাথ দেবের হাত নেই। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ দেব, বলরাম দেব ও সুভদ্রা দেবীর যে কাঠের মূর্তি রয়েছে, তাতেও হাত দেখা যায় না। তবে জগন্নাথ দেবের হাত দেখেছেন কখনও?
বিহারের পাশাপাশি ওড়িশার পর্যটনের উন্নয়নেও বিশেষ সহায়তা প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। ২১ বছর পর নবীন পট্টনায়েক সরকারকে পরাজিত করে ওড়িশার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তাই এবারের বাজেটে ওড়িশার উপর জোর দেওয়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল
১১ সদস্যের যে কমিটি রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের এক সদস্য জানিয়েছেন, রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের চেম্বার থেকে সোনা-দানার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ৫-৭টি মূর্তি, যার উল্লেখ আগে কোনও সমীক্ষায় ছিল না। মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি এই মূর্তিগুলি। তবে দীর্ঘসময় ধরে কুঠুরির ভিতরে অযত্নে থাকায়, তা সম্পূর্ণ কালো হয়ে গিয়েছে।
জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডার নিয়েই যখন চর্চা চারিদিকে, সেখানেই এমন কিছু ছবি সামনে এসেছে, যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকের। পুরীর রথযাত্রার সময়ই জগন্নাথ দেব, বলরাম দেব ও সুভদ্রা দেবীকে বেশভূষা পরিয়ে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে সোনার সাজও থাকে। জগন্নাথ দেবের সম্পত্তি কতটা, তার আন্দাজ মেলে।
রত্ন ভাণ্ডারের বাইরের অংশেই রাখা থাকে সোনার মুকুট। থাকে সোনার হরিদকণ্ঠী মালা। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি মালা রয়েছে। জানা যায়, এই মালাগুলির ওজন ১২০ তোলা বা ১৪০০ গ্রাম সোনা।
এই রত্ন ভাণ্ডারেই থাকে জগন্নাথ দেবের হাত-পা। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। জগন্নাথ দেবের সোনার হাত এটা। এই সোনার হাতকে বলা হয় শ্রীভূজ।
জগন্নাথ ও বলরাম দেবের সোনার পা-ও রয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবতাদের এই স্বর্ণসাজে সাজানো হয়।
এছাড়াও রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে সোনা, রুপোর গহনা রয়েছে। হিরে, মুক্তোর প্লেট রয়েছে। আছে সোনার তৈরি ময়ূরের পালক। কপালে পরার জন্য সোনার পট্টিও রয়েছে। যার নাম চালু পট্টি।
জগন্নাথ দেব যেহেতু বিষ্ণুরই রূপ, তাই তার সোনার কানের দুল, কদম্ব মালা, চক্র, গদা, পদ্ম ও শঙ্খও রয়েছে। এই সবকিছুই সোনার।
জানা যায়, ওড়িশার রাজা অনঙ্গভীম দেবই এই সব সোনাদানা অনুদান দিয়েছিলেন। জগন্নাথ দেবের অলঙ্কার তৈরির জন্য তিনি প্রায় দেড় হাজার কেজি সোনা দিয়েছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষকে।
বর্তমানে রত্ন ভাণ্ডারের যাবতীয় গহনা-গাটি বাক্সে ভরে বিশেষ স্ট্রং রুমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সমীক্ষা চলছে রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের অংশে।
জগন্নাথ দেবের এই রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে নতুন নতুন কী কী জিনিস পাওয়া যাবে, তা সমীক্ষা শেষের পরই জানা য়াবে।