
বাঙালি যে ভোজরসিক, সে কথা নতুন করে বলার নয়। আর সেই জন্যই শহর কলকাতার আনাচা কানাচে কিন্তু ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের স্পেশ্যাল সব খাবার। স্বাদ বদলের জন্য অনেকেই সেসব মাঝেমধ্যেই চেখে দেখেন। এই খাবারের তালিকায় বেশ জনপ্রিয় ধোসা, ইডলি, বড়া, উত্তাপাম ও আরও অনেক দক্ষিণী খাবার। তবে চল সবচেয়ে বেশি ধোসার। নানা ধরনের ধোসা এখন কলকাতার বিভিন্ন দোকানে এবং স্ট্রিট ফুড স্টলে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, চাইলে আপনি বাড়িতেও সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন দক্ষিণী এই পদ। একটু এক্সপেরিমেন্ট করে ধোসায় আনতে পারবেন টুইস্ট।

গুজরাটি খাবার ধোকলাও কিন্তু কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে হেলদি ব্রেকফাস্ট কিংবা হেলদি স্ন্যাকসের তালিকায় চোখ বুজে ধোকলা রাখা যায়। বাড়িতে অতিথি অভ্যর্থনাতেও বিভিন্ন ধরনের চাটনি সহযোগে পরিবেশন করতে পারেন ধোকলা। আজকাল অনেক মিষ্টির দোকানেই ধোকলা পাওয়া যায়।

বড়া পাও মানেই একঝলকে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সমুদ্র পাড়ের স্বপ্ননগরী মুম্বই। ওই রাজ্যের অধিকাংশ লোকের সারাদিনের অন্তত একটা মিল বড়া পাও দিয়েই হয়। এই বড়া পাও কিন্তু এখন কলকাতাতেও পাওয়া যায়। এর মধ্যে অনেক ভাগ রয়েছে। তারই মধ্যে একটির নাম মিসল পাও। ঝাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, এই পদ তাঁদের মুখে বেশ রুচবে।

পাঞ্জাব বলতেই যে পদের নাম সবার আগে মনে আসে তা হল মক্কি দি রোটি আর সর্সো দা শাগ। কলকাতায় এখন অসংখ্য পাঞ্জাবি রেস্তোরাঁ এবং ধাবা রয়েছে। স্বাদ বদলের জন্য সেখানে গিয়ে চেখে আসতেই পারেন এই পদ।

পড়শি রাজ্য বিহার নিয়ে বাংলার মানুষের হাজার অভিযোগ থাকলেও সেখানকার লিট্টি চোখা আর ঠেকুয়া খেতে কিন্তু বঙ্গবাসীর একটা বড় অংশে লোক বেশ ভালবাসেন। আজকাল বিভিন্ন স্ট্রিট ফুড স্টলে লিট্টি চোখা পাওয়ায় যায়।

রাজস্থানে ডাল বাটি চুর্মা আর গাট্টে কি সবজি কিন্তু বিখ্যাত নিরামিষ খাবার। নিজের বাড়িতেও নিরামিষ খাওয়ার দিন একটু স্বাদবদল করতে এই দুই পদ আপনি অনায়াসেই বানিয়ে ফেলতে পারেন।

পাহাড় থেকে সমতল, নেপাল-তিব্বত-দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সমান তালে মোমো জনপ্রিয় কলকাতাতেও। স্ট্রিট ফুডের দোকান থেকে শুরু করে নামকরা বাহারি রেস্তোরাঁ, রকমারি মোমো পাওয়া যায় প্রায় সব জায়গায়। আর মোমো খেতে ভালবাসেন না, এমন লোকের সংখ্যা কিন্তু নেহাতই হাতে গোনা।