Photo Gallery: গাছদাদু থেকে মহিলা মাহুত, ‘পদ্মশ্রী’ পেলেন এই ১০ অখ্যাত নায়ক
Unsung heroes who won Padma Shri award: বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য ৩৪ জনের নাম ঘোষণা করেছে। এই তালিকায় বেশ কিছু এমন নায়ক রয়েছেন, যাঁরা প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে, নিঃশব্দে নিজের কাজ করে চলেছেন। দেশের সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। তাঁদের কাজকে সম্মান জানিয়েছে মোদী সরকার। এই তালিকায় যেমন আছেন, ভারতের প্রথম মহিলা মাহুত, তেমনই রয়েছেন বিশেষ ভাবে সক্ষম সমাজকর্মী, যিনি দুই পা খুইয়েও হার মানেননি। চিনে নেওয়া যাক এই রকম ১০ অপরিচিত-স্বল্পপরিচিত নায়ককে -
1 / 10
অসমের প্রাণী সংরক্ষক পার্বতী বড়ুয়া ভারতের প্রথম মহিলা মাহুত। হাতি সামলানোর মতো কঠিন কাজ মহিলাদের পক্ষে সম্ভব নয়, এই ধারণার মূলেই আঘাত করেছেন এই ৭০ বছর বয়সী মহিলা। মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকেই এই কাজ শুরু করেছেন তিনি। বহু দলছুট বন্য হাতির প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। তার জীবনের উপর ভিত্তি করে "কুইন অব দ্য এলিফ্যান্টস" নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিবিসি।
2 / 10
৭২ বছরের প্রেমা ধনরাজ একজন প্লাস্টিক সার্জন তথা সমাজকর্মী। মাত্র আট বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় তাৎ শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ক্রমে ভারতের প্রথম সারির প্লাস্টিক সার্জনদের অন্যতম হয়ে ওঠেন ধনরাজ। আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং তাদের প্লাস্টিক সার্জারিতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি।
3 / 10
বড় মাপের দুর্গা প্রতিমা তৈরির জন্য বিখ্যাত কুমোরটুলি শিল্পী সনাতন রুদ্র পাল। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি একের পর এক ভাস্কর্য গড়ে চলেছেন তিনি। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময়, তাঁর কাজ কলকাতা থেকে বিদেশে পাড়ি দেয়। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, ব্রিটেনের লন্ডনের মতো বহু জায়গায় গিয়েছে তাঁর তৈরি দুর্গামুর্তি।
4 / 10
ছত্তীসগঢ়ের হেমচাঁদ মাঁঝি এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরের এই বাসিন্দা, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্রামবাসীদের সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন। অবুঝমারা জঙ্গল থেকে তিনি বিশেষ গাছ-গাছরা তুলে এনে তা থেকে ওষুধ তৈরি করেন। নকশাল অধ্যুষিত নায়ারণপুর এবং বস্তার জেলায় বহু রোগীকে সারিয়ে তুলেছে তাঁর ওষুধ।
5 / 10
ট্রাকের ধাক্কায় পা হারিয়েছিলেন হরিয়ানার গুরবিন্দর সিং। কোমরের নীচ থেকে অবশ হয়ে গিয়েছথিল তাঁরা। তবু হার মানেননি তিনি। গৃহহীন, নিঃস্ব, মহিলা এবং অনাথদের কল্যাণে লাগাতার কাজ করে চলেছেন তিনি। তাঁকে বলা হয় "দিব্যাঙ্গদের আশা"। ৬,০০০-এরও বেশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত এবং গর্ভবতী মহিলাদের বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সরবরাহ করেছেন তিনি। এছাড়া, ৩০০ শিশুর জন্য একটি শিশু হাসপাতালও স্থাপন করেছেন।
6 / 10
ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ক্রীড়া, মল্লখাম্বের একজন বিশিষ্ট কোচ উদয় বিশ্বনাথ দেশপান্ডে। বিশ্বস্তরে এই খেলাকে পুনরুজ্জীবিত এবং জনপ্রিয় করার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
7 / 10
ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরিবেশ কর্মী, চামি মুর্মু, মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। সেরাইকেলা খারসাওয়ান জেলায় অরণ্যায়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এলাকায় ত্রিশ লাখেরও বেশি গাছ লাগিয়েছেন চামি মুর্মু।
8 / 10
তীব্র আর্থিক অনটনের মধ্যেও, জাগেশ্বর যাদব আদিবাসী অধ্যুষিত ছত্তীসগঢ়ের প্রান্তিক বীরহোর এবং পাহাড়ি কোরোয়া উপজাতির উন্নয়নে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন জাগেশ্বর যাদব। নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং আদিবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানের উন্নয়নে যশপুরে একটি আশ্রমও স্থাপন করেছেন তিনি। "বিরহোর কে ভাই" নামে পরিচিত জাগেশ্বর যাদব, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন আদিবাসীদের মধ্যে টিকাও দিয়েছিলেন। আদিবাসী সমাজে শিশুমৃত্যুর হার কমাতেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
9 / 10
কেরলের কাসারগড়ের ধান চাষী সত্যনারায়ণ বেলেরিকেও পদ্মশ্রী সম্মান জানানো হচ্ছে। ৬৫০টিরও বেশি ঐতিহ্যবাহী ধানের জাত সংরক্ষণ করে তিনি "সিডিং সত্য" নামে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁক "ধানের অভিভাবক"-ও বলে থাকেন অনেকে। তাঁর নিজস্ব উদ্ভাবন, 'পলিব্যাগ পদ্ধতি' ব্যবহার করে তিনি সুতা, জায়ফল এবং কালো মরিচের মতো অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বীজও সংরক্ষণ করেছেন। কর্নাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুর জুড়ে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর কৃতিত্ব এই ৫০ বছরের মানুষটিকেই দেওয়া হয়।
10 / 10
বাংলার পুরুলিয়ার ৭৮ বছরের দুখু মাঝি বেশি পরিচিত "গাছ দাদু" নামে। পুরুলিয়ার অনুর্বর জমিতে সাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে ৫,০০০-এরও বেশি বট, আম এবং ব্ল্যাকবেরি গাছ লাগিয়েছিলেন তিনি।