
শীতের সন্ধেতে ছিমছাম ভাবে বিয়ে সেরেছেন 'রাধারানি' ওরফে শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়। বিয়েতে মানা হয়নি সমস্ত উপাচার। দমদমের কাছে হওয়া সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল না জাঁকজমক। তবে দেখা মিলেছে টলিপাড়ার চেনামুখদের। মায়ের বিয়েতে হাজির ছিলেন খোদ ফড়িংও।

শুধু কি ফড়িং? 'আলতা ফড়িং'-এর সেটের অন্যান্য কলাকুশলীও হাজির হয়েছিলেন ওই বিয়েতে। দেখা মিলেছিল মিষ্টি সিংয়ের। হাজির ছিলেন তুলিকা বসুও।

বিয়েতে দেখা মিলেছিল বল্লভপুরের রাজারও। রাজা অর্থাৎ সত্যম ভট্টাচার্য। বর ও কনে দুজনেরই যে তাঁর অনেকদিনের পরিচিত। পরিচয়ের মারফৎ থিয়েটার।

শাঁওলির স্বামী প্রতীক দত্ত। সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগ আছে ‘বল্লবপুরের রূপকথা’র। দিন কয়েক আগে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘বল্লবপুরের রূপকথা’র স্ক্রিনপ্লে লিখেছেন তিনি। কীভাবে আলাপ দুজনের?

শাঁওলি বলেছেন, “আমাদের থিয়েটার করতে গিয়েই আলাপ। ২০১৩ সাল থেকে ‘নান্দীপট’-এর হয়ে ‘বল্লবপুরের রূপকথা’ নাটকে কাজ করি আমরা। যদিও তখন থেকে প্রেম নয়। কেবলই আলাপ। প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় অনেক পড়ে। পোস্ট অফিসে চাকরি করে প্রতীক। প্রচুর ওয়েব সিরিজ়েও অভিনয় করেছে।"

অনির্বাণ ভট্টাচার্যের মন্দার ও বল্লভপুরের রূপকথার চিত্রনাট্যও তাঁর লেখা। অনেক ধরেই চেনেন দুজন দুজনকে। এবার শুরু হল জীবনের নতুন অধ্যায়ের।