
হিন্দু ধর্মানুসারে, শনিদেব হলেন কর্মফলের দেবতা। দেবতা থেকে সাধারণ মানুষ, সকলকেই শনিদেবের মুখোমুখি হতে হয়। তাই এই বিশেষ দেবতাকে নবগ্রহ বিচারকও বলা হয়।

শনিকে প্রসন্ন করার জন্য শনিবারকে সেরা দিন বলে মনে করা হয়। এই দিনে বেশ কিছু প্রতিকার বা ব্যবস্থা মেনে চললে শনিদেব অত্যন্ত প্রসন্ন হন। আশীর্বাদ বর্ষণ করেন অবারিত।

কথিত আছে, শনির সাড়ে সাতি দশা সকলের জীবনে একবার করে প্রবাহিত হয়। তার জেরে মানুষের জীবনে নেমে আসে সমস্যার ঝড়। কর্ম অনুসারে ফল প্রদান করেন বলেই শনিদেবকে তুষ্ট করার প্রবণতা দেখা যায় ভক্তদের মধ্যে।

প্রতি শনিবার ন্যায়ের দেবতা শনিদেবের পূজা করা হয়। এই দিনে কিছু ব্যবস্থায় শনিদেব দ্রুত প্রসন্ন হয়ে যান। তাই এদিন বিশেষ কিছু কাজ করলে শীঘ্রই তাঁর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।

শনিদেবকে খুশি করতে শনিবার সূর্যাস্তের পর হনুমানজির পূজা করুন। হনুমানদেবের পুজোয় আরতির জন্য প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। তবে সেই প্রদীপে যেন কালো তিলের তেল ব্যবহার করুন।

শনির ক্রোধের কারণে জীবন যদি সমস্যা অব্যাহত, তাহলে শনিবারে শনি যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে শনি যন্ত্রের আরাধনা করতে পারেন। সঙ্গে এই যন্ত্রটি প্রতিদিন পূর্ণ আচারের সঙ্গে পূজা করা উচিত।

শনি যন্ত্রের সামনে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে তাতে নীল ফুল নিবেদন করলে শনিদেবের কৃপা সর্বদা বজায় থাকে।

এদিন শনিদেবের পুজোর সময় কালো ছোলা নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয়। শনিদেবকে কালো ছোলা নিবেদনের পর মোষকে খাওয়াতে পারেন। কুষ্ঠরোগীদেরও খাবার বিলি করতে পারেন। তাতে শনিদেব সব কষ্ট দূর করেন।

শনিবার কালো কুকুর ও কালো গরুর সেবা করেও শনিদেব প্রসন্ন হন। কালো গরুর সেবা করলে দ্রুত শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

একটি কালো গরুর শিংয়ে তাগা বেঁধে পুজো করা উচিত। এরপর গরুকে প্রদক্ষিণ করে চার চামচ বোঁদে খাওয়াতে পারেন। এর জেরে শনি দোষের প্রভাব কমে যেতে পারে অনেকটা।