Smooth Shaving: গালে কোদাল চালানো বন্ধ করুন! এই উপায়ে দাড়ি কাটলে গাল হবে মাখনের মতো মসৃণ
Simple Tips For Men: ভদ্রলোকেরা গালের দাড়ি কেটে ঝকঝকে তকতকে হয়ে থাকতেই পছন্দ করেন। বালক থেকে পুরুষ মানুষ হয়ে ওঠার পথে প্রত্যেকদিন শেভ করা আসলে ম্যানহুড-এ পদার্পণের একটি প্রক্রিয়া।
আজকাল কেউ কেউ ট্রিম করে বাগানের বাহারি গুল্মের মতো গালে দাড়ি রাখেন ঠিকই, তবে ক্লিন শেভড গালের আবেদন চিরকাল ছিল, আছে এবং থাকবে। শেভ করা চকচকে ঈষৎ সবুজাভ ত্বক যেন সর্বকালের সেক্স সিম্বল।
মুশকিল হল, শেভ করার সময় অনেকেরই গাল ছড়ে যায় বা কেটে যায়। অথচ শেভ করার সময় রেজরের সঙ্গে মাখনের মতো গালের দাড়ি নেমে আসবে সেটাই কাম্য।
তা যখন হয় না তখন দাড়ি কাটাই বিড়ম্বনা হয়ে যায়। আগের ক্ষত না সারলে দাড়ি কাটাই বন্ধ রাখতে হয়। না হলে গালে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এছাড়া অনেকের দাড়ি কাটার পরেই বেরিয়ে যায় র্যাশ। অনেকে তাই বারংবার ভিন্ন সংস্থার রেজার ব্যবহার করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন।
কেউ কেউ শেভিং ক্রিম বদলান ঘনঘন। অথচ কোনও ফল মেলে না। প্রশ্ন হল কী করলে গালের দাড়ি নরম তুলতুলে পেস্ট্রির মতো কেটে ফেলা যাবে? দেখা যাক—
উষ্ণ জল: প্রথমে ঈষদুষ্ণ জলে দাড়ি ভিজিয়ে নিন। গরম জল ত্বকের রোমকূপগুলিকে পরিষ্কার করে দেয়। ফলে দাড়ি নরম হয়ে ওঠে। এছাড়া ত্বকে থাকা বাড়তি তেল এভং মৃত কোষও ধুয়ে দিতে সাহায্য করে ঈষদুষ্ণ জল। ফলে দাড়ি কাটার সময়ে রেজারের গতিপথে কোনও প্রতিবন্ধকতা আসে না। তাই দাড়ি কাটার উৎকৃষ্ট সময় হল হট বাথ কিংবা ত্বকে স্ক্র্যাব ব্যবহারের পরে।
শেভিং ক্রিম: ফোম অথবা জেল দিয়ে দাড়ি কাটা যায়। জেল দিয়ে দাড়ি কাটার একটা সুবিধা রয়েছে। আর তা হল জেল লাগালে গালে ব্রাশ ও জল দিয়ে ফেনার একটা পাতলা আস্তরণ তৈরি করতে হয়। ব্রাশের ব্যবহারে গালের মৃত কোষগুলি সরে যায়। অবশ্য এখন অনেক ইলেকট্রিক রেজর পাওয়া যায় যেগুলি ব্যবহার করতে ফোম বা জেল লাগে না। তবে আপনার নিজের জন্য কোন পদ্ধতি উপকারী তা বুঝে নিন।
ব্লেড: কোন রেজরে দাড়ি কাটছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার দাড়ির পক্ষে আরামদায়ক এবং উপযোগী এমন রেজর ব্যবহার করুন। অন্যেক দেখে রেজর কিনতে যাবেন না না। আর হ্যাঁ, কোনওভাবেই খোলা অবস্থায় রেজর বাথরুমের তাকে বা বেসিনের উপর রাখবেন না। তাতে রেজরে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তার থেকে মুখের ত্বকে সংক্রমণ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
কোন দিকে কাটবেন: আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা যে দাড়ির বৃদ্ধি ঘটে তার উলটো দিকে রেজর চালান। এই অভ্যেসে গালে র্যা শ বেরনোর পূর্ণ আশঙ্কা থাকে। তাই যে দিকে দাড়ি বাড়ছে সেই দিকেই রেজর চালান।
ঠান্ডা জলের ব্যবহার: দাড়ি কাটা হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে গাল ধুয়ে নিন। ঠান্ডা জল রোমকূপ ও গালের ত্বকের পক্ষে আরামদায়ক। এরপর একটি ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে অ্যালকোহল নির্ভর কোনও আফটার শেভ লোশন ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকুন।
কারণ এই ধরনের আফটার শেভ লোশন গাল শুষ্ক ও রুক্ষ করে তুলতে পারে। এমন গালে প্রেমিক চুমু দিলে রক্তারক্তি হয়ে যাওয়ার ভয় থেকেই যায়। সম্পর্কও নষ্ট হতে পারে। অতএব শেভ করুন আর গালযুগল করে তুলুন পালকের মতো নরম।