
পূর্ণ না হলেও খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকল ভারত। এছাড়া ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম-মধ্য এশিয়ার বড় অংশ থেকেও এই গ্রহণ দেখা গিয়েছে। উত্তর-পূর্বের কিছু অংশ বাদে ভারতে প্রায় বেশিরভাগ জায়গা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে।

সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য ও পৃথিবীর মাঝেখানে চাঁদ চলে আসে। তার জেরে সূর্যের আলো এই নীলগ্রহে পৌঁছাতে পারে না। সাধারণত তিন ধরণের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।

পূর্ণ সূর্যগ্রহণ, আংশিক সূর্যগ্রহণ ও রিং-আকৃতির সূর্যগ্রহণ। সম্পূর্ণ বা পূর্ণ গ্রহণের সময় চাঁদ সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে ঢেকে দেয়। অন্যদিকে বৃত্ত বা রিংয়ের মত গ্রহণের সময় , চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে ফেলে না, একটি প্রান্ত দৃশ্যমান হয়ে থাকে। এছাড়া আংশিক সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় চাঁদ আংশিকভাবে ঢেকে রাখে।

সময় ও তারিখ অনুসারে, আংশিক সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল বেলা ২.২৮ মিনিট থেকে। সর্বোচ্চ গ্রহণ হয়েছে ৪.৩০ মিনিটে। ভারতের বিভিন্ন শহরের কোন সময়ে গ্রহণ শুরু হয়েছে, সর্বোচ্চ মাত্রায় দেখা গিয়েছে, তা এখানে দেখে নিন...

ভারতের রাজধানীতে গ্রহণ দেখা গিয়েছে বেলা ৪টে ২৯ মিনিট থেকে। প্রায় ৪৪ শতাংশ গ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছে, সন্ধ্যে ৫.৩০ মিনিট পর্যন্ত। ৪টে ৪৯ মিনিট থেকে মুম্বই শহরে দেখা গিয়েছে ২৫ শতাংশ গ্রহণ। শেষ হয়েছে ৫টা ৪২ মিনিটে। হায়দরাবাদে দেখা গিয়েছে বেলা ৪টে ৫৯ মিনিট থেকে। অন্যদিকে কলকাতায় দেখা গিয়েছে বেলা ৪.৫২ মিনিট থেকে। শেষ হয়েছে ৫.০১ মিনিটে। চলতি বছরের শেষ সূর্য্রহণের মাত্র ৪ শতাংশই দেখতে পেয়েছে কলকাতাবাসী।

গ্রহণ কখনও একক ভাবে পালিত হয় না। সাধারণত চন্দ্রগ্রহণের প্রায় ২ সপ্তাহ আগে বা পরে একটি করে সূর্যগ্রহণ ঘটে। প্রসঙ্গত, আজকের সূর্যগ্রহণের পর আরও একটি চন্দ্রগ্রহণ হবে। চলতি বছরের আগামী ৮ নভেম্বরে হবে বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ।