
হায়দরাবাদের এক বিখ্যাত চিকিৎসক পরিবারে জন্ম ভাঙ্গিপুরাপু ভেঙ্কট সাই লক্ষ্মণের। মা-বাবা ড. শান্তারাম এবং ড. সত্যাভামা, দুজনেই বিজয়ওয়াড়ার বিখ্যাত ডাক্তার। চিকিৎসক হবেন নাকি ক্রিকেটার, এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলেছিল। অবশেষে বিখ্যাত ডাক্তার পরিবারের ছেলে হয়ে গেলেন ভারতের ক্রিকেট তারকা। (ছবি:ইনস্টাগ্রাম)

হায়দরাবাদের লিটল ফ্লাওয়ার হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। ছাত্র হিসেবে দুর্দান্ত ছিলেন লক্ষ্মণ। ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেন।(ছবি:ইনস্টাগ্রাম)

১৯৯২-৯৩ রঞ্জি ট্রফির মরসুমে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক। প্রথম ইনিংসে নেমে শূন্য রানে আউট হন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালে কটকে ওয়ান ডে ফরম্যাটে অভিষেক হয় ভারতের ডানহাতি ব্যাটারের। সেবারও শূন্য রানে ফিরতে হয়েছিল লক্ষ্মণকে।(ছবি:ইনস্টাগ্রাম)

২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেনে ২৮১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসের কথা প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমীর জানা। মাঠে নামার আগে ড্রেসিংরুমে স্নান করছিলেন ভিভিএস। ওই টেস্টে রিজার্ভ দলে ছিলেন তিনি। নিয়মিত প্র্যাকটিসও করেননি। অথচ মাঠে নামতেই ইতিহাস গড়েছিলেন।(ছবি:ইনস্টাগ্রাম)

স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত লক্ষ্মণ। ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমেদাবাদে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ম্যাচের আগে বাবর কাছ থেকে উপহার পান স্বামী বিবেকানন্দের উপর একটি বই। বইটা কিছুটা পড়ে মাঠে নামেন লক্ষ্মণ। আত্মজীবনী '২৮১ অ্যান্ড বিয়ন্ড' বইটিতে লক্ষ্মণ লিখেছেন, "এমন বই আপনাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।" (ছবি:ইনস্টাগ্রাম)

২ দশক ধরে ভারতের মিডল অর্ডারের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিমের ভরসার মানুষ। অথচ ভিভিএসের বর্ণময় কেরিয়ারে বিশ্বকাপের স্থান নেই। হতাশার হলেও ক্রিকেট কেরিয়ারে অত্যন্ত সফল মানুষটি কখনও বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেননি। ২০০৩ বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে টানা দুটো মাস আমেরিকায় এক বন্ধুর কাছে গিয়ে থেকেছিলেন। লক্ষ্মণের সেই বন্ধুটি ক্রিকেট পছন্দ করতেন না! (ছবি:ইনস্টাগ্রাম)