
জিতেন্দ্র কুমার-- কখনও তিনি জিত্তু ভাইয়া আবার কখনও পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজের সচিবজি। হওয়ার কথা ছিল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলেন অভিনেতা। হেলায় দূরে ঠেলে ফেলে দিলেন আইআইটি খড়গপুরের ডিগ্রিও। প্যাশনকে পেশা বানানো এই মানুষটির জীবন যেন স্বপ্নের মতো। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা জিতেন্দ্র কীভাবে হয়ে উঠলেন ওয়েব সিরিজ দুনিয়ার 'রাজা'? রইল সেই কাহিনী...।

রাজস্থানের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম জিতেন্দ্রর। ছোট থেকেই মারাত্মক মেধাবী। ভর্তি হন খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে।

অভিনয়ের খিদে ছিল অন্দরে সুপ্ত। কখনও নানা পটেকরের নকল আবার কখনও বা চলত অমিতাভ বচ্চনের মতো সংলাপ বলা। সহপাঠীদের কাছে অচিরেই হয়ে উঠেছিলেন হিরো। ফ্যাশন নিয়ে ছিলেন বরাবরই সচেতন।

এভাবেই দিন চলছিল। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল অভিনয়ের প্রতি প্রেম। শুরু করলেন থিয়েটার। আইআইটি খড়গপুরের হিন্দি টেকনোলজি ড্রামাটিক্স সোসাইটির অংশও হয়ে গেলেন অচিরেই। সেখানে তাঁর আলাপ হয় বিশ্বপতি সরকারের সঙ্গে। তিনি ছিলেন প্রবাসী বাঙালি। আইআইটির আর এক প্রাক্তনী।

বিশ্বপতি সোনা চিনতে দেরি করেননি। জিতেন্দ্রকে অফার দেন নামজাদা ইউটিউব চ্যানেল দ্য ভাইরাল ফিভার বা সংক্ষেপে টিভিএফের অংশ হওয়ার জন্য। ওই চ্যানেলের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন বিশ্বপতি।

২০১২ সালে টিভিএফের সঙ্গে যুক্ত হন জিতেন্দ্র। বাড়িরে ঘোর আপত্তি। মেধাবী ছাত্রের হল টা কী? আইআইটির ডিগ্রি, লোভনীয় চাকরি ছেড়ে শেষে কিনা ইউটিউবের অভিনেতা! মানতে পারেননি বাবা-মাও। তবে ভাগ্য আটকায় কাকে?

'মুন্না জজবাতি' থেকে শুরু হয় তাঁর জার্নি। এর পর একে একে টিভিএফ ব্যাচেলরস, টিভিএফ পিচারস, কোটা ফ্যাক্টরির জিত্তু ভাইয়া-- দর্শকমনে জায়গা করে নিতে বেশি সময়ে করেননি জিতেন্দ্র।

তবে আরও ব্রেক তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। সুযোগ পেলে পঞ্চায়েত সিরিজে মুখ্য চরিত্রে কাজ করার। সেখানেও তিনি সফল। সচিবজিকে ভালবেসে ফেলে দর্শক। অভিনয় করেন 'শুভ মঙ্গল জাদা সাবধান'-এও। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

তাঁর অভিনীত পঞ্চায়েতের দ্বিতীয় সিজনও মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। সেখানেও তিনি অনবদ্য। হতে পারতেন ইঞ্জিনিয়ার। তবে থ্রি ইডিয়টসের ফারহানের মতো বেছে নিয়েছিলেন প্যাশনকে। আর প্যাশন যখন পেশা হয়ে যায় তখন সেই ব্যক্তিকে আটকায় এমন সাধ্য কার?