
উইমেন্স ক্রিকেট। প্রসঙ্গ উঠলে শুধু ভারত নয়, আন্তর্জাতিক স্তরে দুটো নাম সকলের মুখেই আসবে। ঝুলন গোস্বামী এবং মিতালি রাজ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ঝুলন গোস্বামীর। বিশ্ব ক্রিকেটের আইকন। নতুন প্রজন্মের উদাহরণ। (ছবি: X)

কঠিন পথ থেকে জাতীয় দল, কিংবদন্তি পেসার হয়ে ওঠা। লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। বরং, তাঁর মতো লড়াইয়ের সামনে পড়তে হলে, অনেকেই হয়তো মাঝপথে হাল ছেড়ে দিতেন। আজ সেই ঝুলন গোস্বামীর জন্মদিন। (ছবি: X)

শুরুটা যেমনই হোক, শেষটাই সকলে মনে রাখে। বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে একঝাঁক রেকর্ড গড়েই কেরিয়ার উজ্জ্বল করে রেখেছেন ঝুলন। মেয়েদের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বাধিক কেরিয়ার তাঁর। সব মিলিয়ে ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার। (ছবি: X)

মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে ওডিআইতে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক পেরিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন পেসার ঝুলন গোস্বামী। ২০৪টি ওডিআই ম্যাচে নিয়েছেন মোট ২৫৫ উইকেট। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই উইকেটের শিখরে। (ছবি: X)

মেয়েদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ বার ইনিংসে ৪ কিংবা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ফাইফার নিয়েছেন ৬ বার। টেস্টে তিন বার, ওডিআইতে দুই এবং টি-টোয়েন্টিতেও ফাইফার রয়েছে। (ছবি: X)

২০০৬ সালের অগস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ১০ উইকেট নেন ঝুলন গোস্বামী। মেয়েদের ক্রিকেটে টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে ম্যাচে ১০ উইকেটের নজির গড়েন ঝুলন। (ছবি: X)

ওয়ান ডে ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক তাঁর। ২০০২ সালে ওডিআই ও টেস্ট অভিষেক। ২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি। ২০০৮-২০১১ সাল অবধি ভারতীয় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। (ছবি: X)

২০১০ সালে অর্জুন সম্মান দেওয়া হয় কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামীকে। তার দু-বছর পর মেয়েদের ক্রিকেটে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে পদ্ম সম্মান দেওয়া হয়। ঝুলন গোস্বামীর কেরিয়ারে আক্ষেপের জায়গা, দু-বার বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছেও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা। এই আক্ষেপ ভারতের প্রতিটা ক্রিকেট প্রেমীরই। কেন না, মেয়েদের ক্রিকেটে আইসিসির কোনও ট্রফি জেতেনি সিনিয়র দল। (ছবি: X)