কেরিয়ার গড়তে বরাবরই বিখ্যাত বাবাকে অনুসরণ করেছেন অর্জুন। ক্রিকেট তাঁর ধ্যানজ্ঞান। আইপিএল কেরিয়ারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ডেবিউয়ের পর আইপিএলে খেলা প্রথম বাবা-ছেলে জুটি হিসেবে ইতিহাস গড়েছে তেন্ডুলকর পরিবারের দুই প্রজন্ম। (ছবি:টুইটার)
সেই ২০০৮ সাল থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে যুক্ত সচিন। একটা সময় টিমের হয়ে খেলেছেন। এরপর মেন্টর হিসেবে যুক্ত। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। তবে সচিনের ছেলে বলেই বাড়তি সুবিধা পাননি অর্জুন। নয়তো দুটো বছর ধরে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকতে হত না। (ছবি:টুইটার)
তিনবছরের মাথায় অর্জুনকে আর উপেক্ষা করতে পারল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২৩ বছরের অর্জুন গতবছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রবেশ করেন। আইপিএল শুরুর আগে একটি টি-২০ প্রতিযোগিতায় ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করেন অর্জুন। তারপর থেকে আইপিএল অভিষেকের দাবি জোরালো হচ্ছিল। অবশেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে তাঁকে মাঠে নামায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।(ছবি:টুইটার)
বাবা ব্যাটিং কিংবদন্তি। আর অর্জুন সেই ব্যাটারদের ঘুম কাড়তে চেয়েছেন। বাঁ হাতি পেস বোলার অর্জুন। ব্যাটিংয়েও স্বচ্ছন্দ। এদিকে সচিন ব্যাটিং-বোলিং উভয়ই করেন ডান হাতে। (ছবি:টুইটার)
এ বারের আইপিএলেও প্রথম তিন ম্যাচে অর্জুনকে মাঠে নামানো হয়নি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অর্জুনের অভিষেকের পূর্ণ সম্ভাবনা ছিল। তাঁকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের তালিকাতেও রাখা হয়। কিন্তু মাঠে নামেননি। অবশেষে কেকেআরের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে আইপিএল অভিষেক হল সচিন-পুত্রের।(ছবি:টুইটার)
প্রথম আইপিএল ম্যাচে ১২ রান করেছিলেন সচিন। পুত্র অর্জুন প্রথম ম্যাচে কী করেন সেদিকেই নজর ছিল সকলের। অভিষেক ম্যাচেই বোলিংয়ের সূচনা করেন অর্জুন। বল করলেন মাত্র দু ওভার। (ছবি:টুইটার)
প্রথম ওভারে ৪ রান দেন। সঙ্গে একটি এলবিডব্লিউর আবেদন। সবমিলিয়ে খরচ করলেন ১৭ রান। মাঠে নামার আগে ছেলেকে মূল্যবান পরামর্শ দেন সচিন।(ছবি:টুইটার)
ছেলের অভিষেকে আত্মহারা সচিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলে অর্জুনকে বার্তাও দিয়েছেন। লিখেছেন, "তুমি ক্রিকেটকে প্রাপ্য সম্মান দাও, ক্রিকেটও দেখবে তোমাকে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবে।" (ছবি:টুইটার)