সব সফল মানুষের পিছনে একজন নারীর অবদান থাকে। সচিন তেন্ডুলকরের সফল কেরিয়ারের পিছনে অঞ্জলি তেন্ডুলকরের অবদান কতটা? সচিনই পারবেন এর উত্তর দিতে। তবে অঞ্জলির মতো সঠিক জীবনসঙ্গিনী না পেলে হয়তো অনেক কিছুই বাকি থেকে যেত সচিনের জীবনে। (ছবি:টুইটার)
সচিনের থেকে অঞ্জলি ছয় বছরের বড়। বিয়েতে পাত্র পাত্রীর বয়স নিয়ে সমাজের মিথ ভেঙে দিয়েছিলেন। আজও বিয়েতে বয়সের কথা উঠলে সচিন-অঞ্জলির উদাহরণ তুলে ধরা হয়। (ছবি:টুইটার)
সচিনের প্রেম নিয়ে আস্ত এক সিনেমা হয়ে যেতে পারে। একেবারে ফিল্মি কায়দায় ১৯৯০ সালে বিমান বন্দরে প্রথম বার অঞ্জলিকে দেখেন সচিন। ভিড়ের মধ্যে একটি ভীষণ মিষ্টি মুখ দেখে কোঁকড়া চুলের ছেলেটির হৃদয়ে বেজে গিয়েছিল প্রেমের সুর।(ছবি:টুইটার)
সচিন ফিরছিলেন ইংল্যান্ড সফর শেষে। অঞ্জলি গিয়েছিলেন তাঁকে মাকে রিসিভ করতে। সেদিন বিমানবন্দরে অঞ্জলি জানতে পারেন সচিনের পরিচয়। (ছবি:টুইটার)
অঞ্জলি তখন ডাক্তারির প্র্যাকটিস করছেন। ক্রিকেট সম্পর্কে অঞ্জলি ততটা ওয়াকিবহাল না হলেও দু'জনের প্রেম তাতে আটকায়নি। পরে বিমানবন্দরের ওই সুন্দর মুখের অধিকারিণীর সাক্ষাৎ ঠিক পেয়ে গিয়েছিলেন সচিন। শোনা যায়, প্রথম বার সাংবাদিক সেজে সচিনের বাড়িতে গিয়েছিলেন অঞ্জলি। সচিনের হাতে চকলেট ধরিয়ে দেওয়ায় সন্দেহ হয়েছিল তাঁর মায়ের। জিজ্ঞেস করেন, 'তুমি কি সত্যিই সাংবাদিক?' (ছবি:টুইটার)
প্রেম চলাকালীন দু'জনে মিলে রোজা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। অঞ্জলির অনুরোধে ছদ্মবেশে থিয়েটারে ঢোকেন সচিন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বিরতির সময় দর্শকরা চিনে ফেলেন সচিনকে। সিনেমা মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয় হল থেকে। সেইসময় একটা ফোন কলের পিছনে তখন অনেক টাকা লাগত। টাকা বাঁচাতে সচিনকে চিঠি লিখতেন অঞ্জলি। (ছবি:টুইটার)
প্রেম পর্ব চলেছিল বছর পাঁচেক ধরে। সচিন কিছুতেই অঞ্জলির পরিবারকে বিয়ের কথা বলতে পারছিলেন না। শেষমেশ লাজুক ও ব্যস্ত বয়ফ্রেন্ডের উপর ভরসা না রেখেই নিজেই বিয়ের কথা পাড়েন অঞ্জলি।(ছবি:টুইটার)
১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাগদান পর্ব সেরে নেন সচিন ও অঞ্জলি। এরপর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৯৫ সালের ২৪ মে। ৩০ বছরের দিকে এগোচ্ছে তাঁদের দাম্পত্য জীবন। (ছবি:টুইটার)