
বাবা-মা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তারকা। তাই সহজেই সিনেমায় সুযোগ পাননি এঁরা। মাধুরী দীক্ষিত, মালাইকা আরোরা, সইফ আলির ছেলেরা করণের ছবিতে সহকারী হিসেবে শুরু করেছেন কাজ। এই রীতি এখনকার নয়, আজকের বহু তারকাও রীতিমতো দিনের পর দিন নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির একজন করতে পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তারপর আজ তাঁরা বলিউডের তারকা। এই তালিকা বেশ লম্বা।

সোনাম কাপুর। বাবা অনিল কাপুর। কিন্তু বাবার পরিচয়ে নয়, নিজেকে তৈরি করতে প্রথমে সঞ্জয়লীলা ভনশালির কাছে ‘ব্ল্যাক’ ছবির সময় সহকারী হিসেব কাজ করেন। পরে এক সাক্ষাৎকারে সোনাম জানান, তিনি যখন সঞ্জয়ের কাছে কাজ চাইতে যান, পরিচালক জানতেই না অনিল কাপুর তাঁর বাবা। পরে সঞ্জয়ের হাত ধরে ‘সাওরিয়া’ ছবি দিয়ে বলিউড ডেবিউ করেন তিনি।

বাবা ঋষি কাপুরে ‘প্রেম গ্রন্থ’, ‘আ অব লট চলে’, ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন রণবীর কাপুর। রীতিমতো নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির একজন করে তুলে সঞ্জয় লীল ভনশালির হাত ধরে ‘সাওরিয়া’ ছবি দিয়ে আসেন বলিউডে। নায়িকা সোনামের সঙ্গে আলাপ ‘ব্ল্যাক’ ছবি থেকে।

বরুণ ধাওয়ান। বাবা প্রখ্যাত পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান। বহু তারকা তাঁর ছবিতে অভিনয় করে স্টার হয়েছেন। কিন্তু বাবার কাছে নয়, নিজেকে তৈরি করতে করণ জোহরের কাছে ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির সময় সহকারী হিসেবে কাজ করেন। পরে পরিচালকের হাত ধরেই তিনি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবি দিয়ে ডেবিউ করেন।

অর্জুন কাপুর। বাবা বনি কাপুর বলিউডের তারকা প্রযোজক। কিন্তু তাঁর তত্ত্বাবধানে নয়, আদিত্য চোপড়ার সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি ‘কাল হো না হো’ আর ‘সলাম-এ-ইশক’ ছবি দিয়ে। তারপর ‘ইশকজাদা’ ছবি দিয়ে বলিউড যাত্রা।

ইশান খট্টর তাঁর দাদার ছবি ‘উড়তা পঞ্জাব’-এ একজন সহকারী ছিলেন। পরে তিনি মজিদ মজিদের চলচ্চিত্র ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’ ছবি দিয়ে ডেবিউ করেন।

আদিত্য পাঞ্চোলি এবং জরিনা ওয়াবের ছেলে সূরজ পাঞ্চোলি সঞ্জয়লীলা ভনশালি সহকারি হিসেবে হৃতিক রোশন অভিনীত ‘গুজারিশ’ ছবিতে সহকারী ছিলেন। পরে নিখিল আডবাণীর ছবি ‘হিরো’ দিয়ে ডেবিউ করেন।

শুধু সোনাম নন, তাঁর ভাই হরষবর্ধন কাপুরও ‘বোম্বে ভেলভেট’ ছবিতে একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। পরে ‘মির্জিয়া’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন।