
মানসিক চাপ বাড়লে শুধু যে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে কিংবা মন খারাপ হয় সেটা নয়। পাশাপাশি দাঁতেরও ক্ষয় হয়। শুনতে অবাক লাগছে? কিন্তু এটাই সত্যি যে অবসাদের প্রভাব পড়ে আপনার দাঁতেও।

মানসিক অবসাদ থেকে ইমোশনাল ইটিং ডিসঅর্ডার তৈরি হয়। এতে আপনি বাড়ির তৈরি খাবারের চেয়ে বাইরের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। এতে ক্ষতি হয় স্বাস্থ্যে এবং সর্বোপরি আপনার দাঁত ও মাড়ির।

এই ইমোশনাল ইটিং ডিসঅর্ডার থেকে বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এখান থেকে জন্ম নেয় ক্যাভিটিস। অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন চকোলেট খেলে দাঁতের ক্ষয় হয়।

মানসিক অবসাদের কারণে বার্নিং মাউথ সিনড্রোমও দেখা যায়। এই সিনড্রোমে মুখের ভিতর জ্বালাভাব শুরু হয়। যে কোনও খাবার খেলেই মাড়িতে জ্বালাভাব দেখা দেয়। পাশাপাশি জিভের স্বাদ চলে যায়। এখান থেকে খাবারের প্রতি অনীহাও তৈরি হয়।

অনেক সময় মানসিক স্বাস্থ্যে কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকেরা প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট ওষুধ দেন। এই ধরনের ওষুধেরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এগুলো অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দাঁতের উপরও প্রভাব ফেলে।

অবসাদে বাড়ে ধূমপান ও মদ্যপানের প্রবণতা। এখান থেকে শুধু যে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় তা নয়। এতে মুখের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়ে। এমনকী ধূমপানের কারণে মুখে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।