কচ্ছের রণ: শীতে কচ্ছের রণ বেড়াতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। গুজরাতের সংস্কৃতির সঙ্গে যদি পরিচিত হতে চান তাহলে ঘুরে আসুন এই লবাণাক্ত মরুভূমি থেকে। শীতে প্রায় ৩ মাস ধরে এখানে রণ উৎসব চলে, যেখানে আপনি গুজরাতের খাদ্য, ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, নৃত্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কুর্গ: কুর্গ কর্ণাটকে অবস্থিত। এই হিল স্টেশনটি পর্যটকদের কাছে খুবই বিখ্যাত। এটি চা বাগানের জন্য পরিচিত। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে যেন স্বর্গ। আপনার ব্যস্ত জীবনের মাঝে কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা। এছাড়াও, আপনি কুর্গে ট্রেকিং, রক ক্লাইম্বিং এবং অন্যান্য অনেক অ্যাডভেঞ্চার কার্যকলাপ উপভোগ করতে পারেন। কুর্গ ভ্রমণের সেরা সময় অক্টোবর থেকে এপ্রিল।
জয়সলমের: এই জায়গাটি মন্ত্রমুগ্ধ করা কিছু ইতিহাসের জন্য পরিচিত। বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক দুর্গ, প্রাসাদ, মরুভূমির দুর্গ, মোহনীয় হ্রদ এবং রাজস্থানের অনন্য শিল্প ও সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে পর্যটকদের আকর্ষণ করে আসছে। জয়সলমের ফোর্ট, লেক প্যালেস, ফোর্ট, সিটি প্যালেস ইত্যাদি রয়েছে, যেখানে পর্যটকরা প্রায়শই ভিড় জমায়।
গোয়া: সুন্দর এবং সাজান সমুদ্র সৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যেতে হলে গোয়া একবার যেতেই হবে। এখানে একাধিক সুন্দর সমুদ্রতটে অসম্ভব সুন্দর সিফুড খেতে পারবেন। শহর থেকে একটু দূরে গেলেই একাধিক ট্রেকিং রুট রয়েছে। রাতের গোয়া যদি একবার বন্ধুদের সঙ্গে না কাটান, তবে বিশ্বাসই হবে না রাতেরও যে এক মায়া থাকে। গোয়ার বোট পার্টি কোনওভাবেই মিস করা যাবে না সেক্ষেত্রে।
কন্যাকুমারী: তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত কন্যাকুমারী একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিবেকানন্দ রক থেকে শুরু করে লাইট হাউস, সানসেট পয়েন্ট ইত্যাদি জায়গা রয়েছে যেখানে আপনি সময় কাটাতে পারবেন। এখানে শীতে ঘুরতে যাওয়াই উচিত, কারণ বছরের অন্যান্য সময় এখানে তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে।
মুম্বাই: সমুদ্র সংলগ্ন হওয়ার কারণে মুম্বাইয়ে উত্তর ভারতে অতটা শীত পড়ে না। এখানে যেমন অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে, তেমনি এখানকার স্ট্রিট ফুডও অনেক প্রিয়। তাছাড়া এখানের ইরানি ক্যাফেগুলি পর্যটকদের বেশি মন কাড়ে। বিশেষ বিষয় হল কম বাজেটে শহর ভ্রমণও সম্পন্ন করা যায়।