
ডায়বেটিস, ব্লাড প্রেশার, জ্বর, সর্দি-কাশির মত শরীরের অন্যান্য রোগের সঙ্গে মানসিক রোগের কোনও পার্থক্য নেই। সাধারণ ভাবে অনেকেই ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটির মত সমস্যাকে রোগ হিসাবে গণ্য করে না। কিন্তু এগুলিও এক প্রকার, যা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যায়। সেই চিকিৎসা পদ্ধতিরই অন্তর্গত হল যোগব্যায়াম।

নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করলে শরীর ও মনে একটা সতেজতা দেখা দেয়। এতে প্রভাব উজ্জ্বল ভাবে ফুটে ওঠে আপনার প্রতিটি ব্যবহারে, যার ফলে খুব সহজেই আপনার মেজাজ ফুরফুরে থাকে।

এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে মানসিক চাপ ও ক্লান্তিভাব নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তার সঙ্গে দূর হয়ে যায় ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটির মত সমস্যাও। তাই অ্যানজাইটি ও ডিপ্রেশন এবং কাজের দ্বারা তৈরি হওয়া মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত যোগাসন করুন। মনের কষ্ট বা বিষন্নতা দূর করার অসাধারণ উপায় হল যোগাসন।

নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঠিক নিয়ন্ত্রণের ফলে উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তা কমে আসে, যার ফলে মনও ভাল থাকে। এখান থেকেই অনেকটা কমে যায় অ্যানজাইটি ও ডিপ্রেশনের মত মানসিক রোগের ঝুঁকি। অন্যদিকে, নিজের মধ্যে তৈরি করে আত্মসংযমবোধ। এই বিষয়টি জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রে, যে কোনও কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং সেটি আপনি যোগাসনের মাধ্যমেই গড়ে তুলতে পারবেন নিজের মধ্যে।

পড়াশোনায় বা কোনও কাজে মন লাগছে না? যোগাসন করা শুরু করুন। কয়েক সপ্তাহ যোগব্যায়াম করার পর আপনি নিজেই পার্থক্য উপলব্ধি করতে পারবেন। নিয়মিত যোগাসন করলে মনোসংযোগ তো বেড়ে যায়ই, যেখান থেকে স্মৃতিশক্তি ও মনে রাখার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

মনের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর হয়ে যায় যোগাসন করার পড়ে। প্রতিদিন যোগাসন করলে স্নায়ুগুলিও সজাগ হয় এবং সহজেই শক্তিপ্রদানকারী হরমোন উৎপন্ন করে। এই হরমোনের ফলে নেতিবাচক মনোভাব, বিষণ্নতা দূর হয়ে যায় এবং আপনার জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিশক্তি তৈরি হয়।