
সনাতন ধর্মে জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। রাশিফলের গ্রহের অবস্থান জানার পর জ্যোতিষীরা মানুষকে রত্ন পরার পরামর্শ দেন। কুণ্ডলীতে শুভ গ্রহ দুর্বল ও অশুভ গ্রহ শক্তিশালী হলে ব্যক্তির জীবনে নানা সমস্যার তৈরি হয়।

পারিবারিক কলহ ও আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন অনেকেই । পাশাপাশি মানসিক চাপেও থাকেন তাঁরা। বিশেষ করে দুর্বল চন্দ্রের কারণে বা চন্দ্র দোষের কারণে মানসিক যন্ত্রণা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, চন্দ্র হল মনের প্রতীক। চাঁদের দুর্বলতার কারণে মন থাকে অস্থির। যদি রাশিতে চন্দ্রকে শক্তিশালী করতে চান, তাহলে মুনস্টোন ধারণ করতে পারেন।

আপনি যদি মানসিক চাপে ভোগেন ও তা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে মুনস্টোন পরতে পারেন। জ্যোতিষীদের মতে, এই বিশেষ উজ্জ্বল পাথর পরলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে মুনস্টোন পরা উচিত। এর জন্য শুভ দিন হল সোমবার। তবে কৃষ্ণপক্ষের সময় মুনস্টোন পরা উচিত নয়। এর জন্য শুক্লপক্ষে সোমবার রাতে চন্দ্র পাথর পরুন। অন্যদিকে চন্দ্রকান্ত হাতের ছোট আঙুলে পরা উচিত।

জ্যোতিষীরা বলেছেন যে মুনস্টোন পরলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে মুনস্টন পরতে পারেন।

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে মুনস্টোন পরলে যে কোনও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। পিত্রদোষে আক্রান্তরাও মুনস্টোন পরতে পারেন। চন্দ্রকান্ত পরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

জ্যোতিষীদের মতে, ভ্রমণকারীদের অবশ্যই মুনস্টোন পরিধান করা উচিত। তাতে কেরিয়ারে নতুন মাত্রা দেয়। অন্যদিকে মুনস্টোন ধারণ করলে সর্বক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে।

আপনি যদি প্রেমের সম্পর্কে থাকেন তবে আপনি প্রেমের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে মুনস্টোন পরতে পারেন। এটি প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও মাধুর্য বজায় থাকে।

জ্যোতিষীদের মতে কর্কট রাশির অধিপতি চন্দ্র। তাই কর্কট রাশির জাতকদের অবশ্যই মুনস্টোন পরতে হবে। কর্কট রাশির জাতকদের ইংরেজি অক্ষর 'H'। সহজ কথায়, 'এইচ' নামের ব্যক্তি মুনস্টোন পরতে পারেন।