
ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়ায় অনেকে ভরসা রাখেন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপাদানটি নাকি দ্রুত ওজন কমিয়েও দেয়। কিন্তু কীভাবে ব্যবহার করলে ফল পাবেন সেটা কি জানেন?

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের গুণ অনেক। শরীরের ব্যথা যন্ত্রণা থেকেও উপশম দিতে কার্যকর এই উপাদানটি। ত্বকের যে কোনও সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এটি। এর পাশাপাশি চুলে খুশকি সহ একাধিক সমস্যাকে গোড়া নির্মূল করে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার।

এই সব উপকারই পাবেন যদি সঠিক ভাবে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করেন। কারণ অত্যধিক পরিমাণে এই উপাদানটি খেলে এবং ভুল নিয়মে এটির সেবন মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহারের আগে জেনে নিন কীভাবে এবং কখন সেবন করবেন এটি।

যেহেতু এটি ভিনিগার তাই অত্যধিক পরিমাণে পান করবেন না অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। ১৫ মিলি এর বেশি এটি না খাওয়াই ভাল। এর চেয়ে বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে অম্লতার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খান। আর যদি মেদ ঝরাতে চান তাহলে খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা পর এটি খান। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।

সব সময় জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। অন্যথায় এটি বমি বমি ভাব এবং বমির মত উপসর্গ ডেকে আনতে পারে। আর অনিদ্রার সমস্যা থাকলে রাতে এই উপাদানটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।