Badrinath Dham: এখানে নাকি নারীর বেশে আরতি করেন প্রধান পুরোহিত! জেনে নিন বদ্রীনাথধামের অজানা রীতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Jul 05, 2023 | 1:43 PM

Unique Tradition Of Badrinath Temple: এই মন্দিরেই রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর বিশাল মূর্তি। প্রাচীন শাস্ত্র ও পুরাণেও এই জনপ্রিয় মন্দিরের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। রয়েছে নানা প্রাচীন প্রথা, রীতি-নীতি।

1 / 10
দেশের অন্যতম ও বিখ্যাত তীর্থস্থান হল বদ্রীনাথধাম। উত্তরাখণ্ডের চারধামের অন্যতম একটি অংশ হল এই বদ্রীনাথ মন্দির। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার গাঢ়ওয়াল অঞ্চলে অবস্থিত এই মন্দিরটির রয়েছে অজানা অনেক রীতি-নীতি।

দেশের অন্যতম ও বিখ্যাত তীর্থস্থান হল বদ্রীনাথধাম। উত্তরাখণ্ডের চারধামের অন্যতম একটি অংশ হল এই বদ্রীনাথ মন্দির। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার গাঢ়ওয়াল অঞ্চলে অবস্থিত এই মন্দিরটির রয়েছে অজানা অনেক রীতি-নীতি।

2 / 10
নিয়ম অনুযায়ী, বদ্রীনাথ ধামের প্রধান দরজা খুলে দেওয়া হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে। শীত আসতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। এ বছর ২৭ এপ্রিল সকাল ৭টা ১০ মিনিটে।

নিয়ম অনুযায়ী, বদ্রীনাথ ধামের প্রধান দরজা খুলে দেওয়া হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে। শীত আসতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। এ বছর ২৭ এপ্রিল সকাল ৭টা ১০ মিনিটে।

3 / 10
এই মন্দিরেই রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর বিশাল মূর্তি। প্রাচীন শাস্ত্র ও পুরাণেও এই জনপ্রিয় মন্দিরের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। রয়েছে নানা প্রাচীন প্রথা, রীতি-নীতি।

এই মন্দিরেই রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর বিশাল মূর্তি। প্রাচীন শাস্ত্র ও পুরাণেও এই জনপ্রিয় মন্দিরের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। রয়েছে নানা প্রাচীন প্রথা, রীতি-নীতি।

4 / 10
বিষ্ণুদেবের মন্দিরের দরজা বন্ধ করার প্রক্রিয়াও বেশ অভিনব। জানা গিয়েছে, দরজা বন্ধ করার প্রক্রিয়া প্রায় পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। এই পাঁচদিন ধরে চলে নানা  রীতি। সেগুলি প্রায় অনেকেরই কাছে অজানা।

বিষ্ণুদেবের মন্দিরের দরজা বন্ধ করার প্রক্রিয়াও বেশ অভিনব। জানা গিয়েছে, দরজা বন্ধ করার প্রক্রিয়া প্রায় পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। এই পাঁচদিন ধরে চলে নানা রীতি। সেগুলি প্রায় অনেকেরই কাছে অজানা।

5 / 10
মন্দিরে অধিষ্ঠিত ভগবান গণেশ, আদি কেদার, খড়্গ পুস্তক ও মহালক্ষ্মীর পূজা করা হয়। প্রথমে গণেশের পুজো ও আরতি করা হয়। এরপর গণেশের মূর্তি বদ্রীনাথ ধামের গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়।

মন্দিরে অধিষ্ঠিত ভগবান গণেশ, আদি কেদার, খড়্গ পুস্তক ও মহালক্ষ্মীর পূজা করা হয়। প্রথমে গণেশের পুজো ও আরতি করা হয়। এরপর গণেশের মূর্তি বদ্রীনাথ ধামের গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়।

6 / 10
এরপর গণেশ মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আদি কেদারের দরজা বন্ধ করে খড়্গ পুস্তক পুজোর পর মন্দিরে রাখা হয়।

এরপর গণেশ মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আদি কেদারের দরজা বন্ধ করে খড়্গ পুস্তক পুজোর পর মন্দিরে রাখা হয়।

7 / 10
এই প্রক্রিয়াটি প্রায় পাঁচ দিন ধরে চলে। শেষ দিন অর্থাত্‍ পঞ্চম দিনে, মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও মহিলার বেশ ধারণ করে পুজোপাঠ করেন। শুধু তাই নয়, সম্পূর্ণ মেকআপ করে তবেই পুজোর স্থানে বসেন তিনি।

এই প্রক্রিয়াটি প্রায় পাঁচ দিন ধরে চলে। শেষ দিন অর্থাত্‍ পঞ্চম দিনে, মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও মহিলার বেশ ধারণ করে পুজোপাঠ করেন। শুধু তাই নয়, সম্পূর্ণ মেকআপ করে তবেই পুজোর স্থানে বসেন তিনি।

8 / 10
এই নারীবেশ ধারণের পিছনে রয়েছে এক পুরনো প্রথা। জানা যায়, নারীর সাজে প্রধান পুরোহিত দেবী লক্ষ্মীর মূর্তিটি তুলে মন্দিরের ভিতরে ভগবান বিষ্ণুর কাছে প্রতিষ্ঠা করেন।

এই নারীবেশ ধারণের পিছনে রয়েছে এক পুরনো প্রথা। জানা যায়, নারীর সাজে প্রধান পুরোহিত দেবী লক্ষ্মীর মূর্তিটি তুলে মন্দিরের ভিতরে ভগবান বিষ্ণুর কাছে প্রতিষ্ঠা করেন।

9 / 10
বিশ্বাস করা হয়, শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের বন্ধু হিসেবে বিষ্ণু হলেন পরম মিত্র। হএমনকি দেবী লক্ষ্মীর বড় ভাই হিসেবেও শ্রীকৃষ্ণকে মানা হয়। হিন্দু প্রথা অনুযায়ী, পুত্রবধূ শ্বশুরবাড়ির দরজায় কখনও সামনে দাঁড়ায়নি। তাই উদ্ধবজি মন্দির থেকে বের হওয়ার পরই দেবী লক্ষ্মী মন্দিরে বসেন।

বিশ্বাস করা হয়, শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের বন্ধু হিসেবে বিষ্ণু হলেন পরম মিত্র। হএমনকি দেবী লক্ষ্মীর বড় ভাই হিসেবেও শ্রীকৃষ্ণকে মানা হয়। হিন্দু প্রথা অনুযায়ী, পুত্রবধূ শ্বশুরবাড়ির দরজায় কখনও সামনে দাঁড়ায়নি। তাই উদ্ধবজি মন্দির থেকে বের হওয়ার পরই দেবী লক্ষ্মী মন্দিরে বসেন।

10 / 10
 দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি পাল্কিতে আলাদা করে স্থাপন করা হয়। দেবতাদের দ্বারা স্পর্শ যাতে না হয়, তার জন্য আলাদা পাল্কিতে বসানো হয়। মন্দিরের পুরোহিতরা দেবী লক্ষ্মীর সখীদের মহিলাদের রূপ ধারণ করেন তারপর লক্ষ্মীর মূর্তি সেখান থেকে তুলে নিয়ে যান।

দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি পাল্কিতে আলাদা করে স্থাপন করা হয়। দেবতাদের দ্বারা স্পর্শ যাতে না হয়, তার জন্য আলাদা পাল্কিতে বসানো হয়। মন্দিরের পুরোহিতরা দেবী লক্ষ্মীর সখীদের মহিলাদের রূপ ধারণ করেন তারপর লক্ষ্মীর মূর্তি সেখান থেকে তুলে নিয়ে যান।

Next Photo Gallery